বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গতকাল গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি তল্লাশি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। গতকাল গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশির পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, বাংলায় যাতে কেউ ব্যবসা না করতে পারেন, ব্যবসায়ীদের সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলার অর্থনীতিতে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে।’
কিন্তু আজ তিনি সম্পূর্ণ অন্য কথা বললেন। আগের মন্তব্য থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে উল্টে ইডি-র তদন্তের সপক্ষেই সওয়াল করলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। এদিন সেই তিনিই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজনীতিতে অভিযোগ যাই আসুক এজেন্সি এজেন্সির কাজ করবে। বেআইনি সম্পত্তির ক্ষেত্রে গ্রেফতার করতেই হবে। কারণ দেশ চালানোর জন্য এটা দরকার। তা যদি কেউ করে থাকে সেক্ষেত্রে আপত্তি থাকার কথা নয়। রেড নিয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়।’
উল্লেখ্য, অনলাইন গেমে প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার খানের ছোট ছেলে আমির খান, অভিযোগ তেমনই। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আমির খানের বাড়ির খাটের নীচ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে তল্লাশি অভিযানে। গতকাল শনিবার এই তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘বাংলার অর্থনীতিকে ভাঙার একটা চক্রান্ত চলছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। এর আগেও বেশ কিছু বড় বড় বিল্ডিংয়ে কয়েকটা IT রেড হল। সেই বিল্ডিংগুলি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। যেখানে পেয়েছে ঠিক আছে। অন্যায় করলে শাস্তি দিক। কিন্তু, রেড রেড করে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে বাংলার অর্থনীতিতে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা।’ বিরোধীরা ফিরহাদের এই মন্তব্যে বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন। এবার আজই নিজের মন্তব্য থেকে সরে এসে অন্য কথা বললেন হিরহাদ হাকিম।
এখানেই শেষ নয়, তিনি এদিন আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গেম আজকাল বেরিয়েছে। এসব করে টাকা লুঠ করছে। আমার মনে হয় এজেন্সির সঙ্গে সঙ্গে মানুষকেও সচেতন হতে হবে যে এই ফাঁদে আর পা দেব না।’ সূত্রের খবর, আমিরের পাশাপাশি এবার তাঁর বাবা নিসার খানের পরিবহণের ব্যবসার উপরেও নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। এই ব্যবসার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র আমিরের ছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই বিষয়টিও।