বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ ঘনিষ্ঠ- অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মা হতে চেয়েছিলেন। সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন, এমনটাই দাবি ইডি-র। আর তার জন্য, সম্মতি জানিয়ে প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি।
এই সংক্রান্ত একটি চিঠি তদন্তকারী সংস্থা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। সোমবারই আদালতে চার্জশিটে পেশ করে ইডি। এই মুহূর্তে তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইডি সম্প্রতি আদালতে যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে পার্থ ও অর্পিতা উভয়ের নামই রয়েছে। সেই চার্জশিটে বলা হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় মা হতে চেয়েছিলেন৷ আর তার জন্য দত্তক নিতেও তিনি রাজি হয়েছিলেন৷ ইডি-র দাবি, যে সমস্ত নথি ইডি উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে একটি নথি পাওয়া গিয়েছে, সেটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। যা থেকে পরিষ্কার যে, অর্পিতার মা হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই সন্দেহ হয়। কারণ আইনজীবীদের মতে, মহিলা যদি দত্তক নিতে চান, তা হলে তাঁর কোনও রকম নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার পড়ে না৷ তখনই এই ধরনের শংসাপত্রের প্রয়োজন পড়ে, একমাত্র যদি কোনও মহিলা বৈবাহিক বন্ধনে থাকেন, তাহলেই তাঁর স্বামীর নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দরকার । আর তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কী বন্ধুত্বের সম্পর্কের বাইরেও অন্য কোনও সম্পর্ক ছিল।
প্রসঙ্গত, ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির সময়েই তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখানে নগদ কয়েক কোটি টাকা ছাড়াও বহুমূল্য গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সময়ে বহু নথিও অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। ২২ ও ২৩ জুলাইয়ের মধ্য রাতে উদ্ধার হওয়া নথির মধ্যে এমন একটি চিঠি পাওয়া যায় বলে দাবি করেছে ইডির আধিকারিকরা। যেখানে অর্পিতার সন্তান দত্তক নিতে চাওয়ার ইচ্ছা এবং তার জন্য পার্থর শংসাপত্র দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে।
ইডি দাবি করেছে, ওই চিঠিতে পার্থ নিজেকে অর্পিতা ‘ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, অর্পিতা সন্তান দত্তক নিলে তাঁর তাতে কোনও আপত্তি নেই। এই সার্টিফিকেট নিয়ে ইডি-র জেরায় পার্থ তদন্তকারীদের কী বলেছেন সে কথারও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ইডির দাবি, পার্থ ওই সার্টিফিকেট প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর কাছে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে শংসাপত্র নিতে আসেন। সেই কারণে এমন অনেক শংসাপত্র তাঁর কাছে আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। তবে সেই শংসাপত্রের নীচে যে তাঁরই স্বাক্ষর রয়েছে, সে কথাও তদন্তকারীদের কাছে স্বীকার করেছেন পার্থ।