কোটি কোটি টাকা এবং পাঁচ কোটিরও বেশি টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। কিন্তু বারবার সেই যাবতীয় সম্পত্তি তার নয় বলে দাবি করে এসেছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। এ বার এই গোটা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজসাক্ষী হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি তাদের ১৫২ পাতার চার্জশিটে।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বরাবর দাবি করে এসেছেন তার অজান্তেই বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এবং টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে টাকা রাখতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি সেই ঘরে ঢোকার অনুমতি পর্যন্ত তার ছিল না বলেও তিনি জানিয়েছেন। এরপর আদালতের রাজসাক্ষী হতে আর্জি জানালেন অর্পিতা।
চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, সিম্বায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি বেনামী সংস্থা তে অর্পিতাকে জোর করে ডিরেক্টর করা হয়েছিল। যদিও ওই সংস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে থাকা শেয়ারও তার নামে করে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন জৈন বলে এক ব্যক্তি যিনি এই গোটা কাজ করেছিলেন তাকে অর্পিতা বলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে বিদেশ থেকে ফিরলে সে শেয়ার গুলো যেন সোহিনী চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নামে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।
নিজেদের পেশ করা চার্জশিটের চুয়াত্তর নম্বর পাতায় ইডি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যাবতীয় স্বীকারোক্তির কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে আরো জানিয়েছেন নিজের এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রথমে টাকার মালিক ওনার কথা এড়িয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা। কিন্তু পরে সমস্তটাই স্বীকার করেছেন তিনি এবং এর পরেই রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন।