টেট দুর্নীতি কান্ডে অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। মূলত তদন্তে অসহযোগিতা এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
ঠিক কী কী অভিযোগে গ্রেফতার করা হল মানিক ভট্টাচার্যকে? ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যকে সোমবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য। সেখানে তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হয় কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর দেননি মানিকবাবু। উল্টে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নেপোটিজমের অভিযোগ উঠেছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে, পর্যাপ্ত নম্বর না পেয়েও চাকরি পেয়েছেন বহু প্রার্থী। আর তাদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। এছাড়াও, প্রাইমারি বোর্ডের প্রশ্নপত্রের ভুল থাকা সত্ত্বেও সকলের নম্বর বৃদ্ধি করা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, নম্বর বিন্যাস দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে টেটের মেরিট লিস্ট বেরোয়নি। ইচ্ছে করেই কারচুপি করা হয়েছে। ২০১৪ টেটে কোনও নিয়ম না মেনেই অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছে প্রাইমারি বোর্ড। শুধু তাই নয়, বিএড কলেজ থেকে প্রত্যেকটা অ্যাডমিশনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতভর টানা ম্যারাথন জিজ্ঞাসা তাদের পর অবশেষে মঙ্গলবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডির বিশেষ আদালত বন্ধ থাকায় এদিন তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।