বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও ফিরল তিন বছর আগের ফাটল আতঙ্ক। আতঙ্কে বাসিন্দারা। ভোররাতে বউবাজারের মদন দত্ত লেনের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। এদিকে, কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিতেই সকালেই জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দার। এখন কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? এই ভাবনাতেই কার্যত দিশেহারা মদন দত্ত লেনের বাসিন্দারা। রীতিমতো ক্ষুব্ধ তাঁরা। এদিকে, অভিযোগ উঠছে, কেএমআরসিএলের কাজের জন্যই এই ফাটল। মেট্রো রেলের কাজের কারণেই বউবাজারের ১০ টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে বারবার এই ফাটল কেন?
শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এই পুরো ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। যে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছে সেখানকার বাসিন্দাদের সুরক্ষার কথা ভেবে আপাতত তাঁদের বাড়ি থেকে বার করা হচ্ছে। কেন বারবার একই বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের? কেন অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না? এইসব প্রশ্নই উঠছে ক্ষতিগ্রস্তদের তরফে। উল্লেখ্য, এনিয়ে তিনবার বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘুমের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন যে, বাড়ি কাঁপছে। অন্তত ১০ টি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরে। এরপর কোনওরকমে প্রাণ হাতে বাকি রাতটুকু কাটিয়ে, ভোর হতেই তাঁরা দরকারি জিনিসপত্র ব্যাগে ভরে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। যে এলাকায় ফাটল ধরেছে, সেই লাগোয়া এলাকায় যানচলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি এই মুহূর্তে নিশ্চিত করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শিয়ালদার অভিমুখে মেট্রো লাইনে ক্রস প্যাসেজে কাজ চলছিল। রাত তিনটে নাগাদ জল বের হতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সমস্যা ২০১৯-এ প্রথমবার দেখা যায়। চলতি বছরে দুর্গা পিতুরি লেনের এই সমস্যার পাঁচ মাসের মধ্যে এবার মদন দত্ত লেন। ফের একবার দেখা দিল ফাটল আতঙ্ক। আবারও একরাশ চিন্তা এবং রাতের ঘুম কাড়ল বাড়ির ফাটল। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউন্সিলরের রোষের মুখে মেট্রো-কর্তা। ২০১৯ সালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বউবাজারে বিপত্তি শুরু হয়। একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরে, ভেঙেও পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। ৬০০-রও বেশি বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময়। চলতি বছরের মে মাসেও দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হোটেলে সাময়িকভাবে স্থানান্তরিত করা হয়।