বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তাঁকে মুখ খুলতে নিষেধ করা হলেও, তিনি তো কথা বলবেনই। এদিনও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নানা বিষয়ে মুখ খুললেন। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার প্রসঙ্গ থেকে শুরু করে রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, ভবানীপুরে জোড়া খুনকাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। ঠিক কী বললেন মেদিনীপুরের সাংসদ?
এদিন দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলার পরিস্থিতি, অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের পর গত একবছর বিজেপির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন পূর্ণ উদ্যোমে আমরা এগোবে। সর্বভারতীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের পাশে আছে সেটা বোঝাতেই উনি এসেছেন।’
এরপরই উত্তরবঙ্গ ইস্যুতে মুখ খোলেন। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি আগেই সামনে এসেছে। বিজেপি সাংসদ জন বার্লার মুখে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি শোনা গিয়েছিল। তারপরেও উত্তরবঙ্গকে পৃ্থক রাজ্য করার দাবি বিভিন্ন সময়ে বিজেপির নেতা-মন্ত্রী- সাংসদদের মুখে শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহারের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা তথা কেএলও জঙ্গি জীবন সিংহ বাংলা ভাগের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে এর বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, বাংলাকে ভাগ হতে দেবেন না তিনি। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, ‘রক্ত দেব, প্রাণ দেব, তবু বাংলা ভাগ হতে দেব না।’
এদিন পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ চিরকালই অবহেলিত। জলপাইগুড়িতে লড়াই করে মেডিকেল কলেজ করা হল। কিন্তু কোনো পরিকাঠামো নেই। চিকিৎসার জন্য সেই কলকাতা আসতে হয়। শিলিগুড়িতে রাজ্য সরকারের সড়ক কোথাও ঠিকঠাক নেই। সরকার বদলে গেছে কিন্তু, রাস্তার কোনও উন্নতি হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থাও অবহেলিত। স্কুল আছে, সেখানে শিক্ষক নেই। উত্তরবঙ্গকে ৩০ বছর আগে বাম আমলে আলাদা করার দাবী তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সিও। উত্তরবঙ্গের মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করার দরকার আছে বলে মনে করি।’
অন্যদিকে, ‘ভবানীপুর খুন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নৃশংস হত্যাকান্ডে পুলিশ যদি কিনারা করতে না পারে, তাহলে প্রশ্ন উঠবে প্রশাসন কোথায়? পুলিশের যোগ্যতা কতটুকু। এই জন্যই লোক পুলিশের উপর ভরসা রাখে না। এই রাজ্যের পুলিশকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। সিসিটিভি আছে কাজ করে না, পুলিশ আছে কাজ করে না, সরকার আছে, মন্ত্রী আছে কিন্তু কাজ করে না।’
এদিকে, মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। দলবদল করেননি। বুধবার এমনই রায় দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘স্পিকার নিজেকে তৃণমূল পার্টির লিডার রেখে পদের মর্যাদা নষ্ট করে খুব অন্যায় করেছেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর মানুষের যদি আস্থা চলে যায়, তার জন্য মানুষ নয় এইধরনের রাজনৈতিক নেতারাই দায়ী থাকবেন।’