বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস ৩৬৫ ধারা জারির দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার জন। বুধবার ফের বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে, রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করার সময় এসেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, ‘একটা সরকার জন্মত নিয়ে এসেছে এক বছরও হয়নি, এর মধ্যেই ৩৫৬ ধারার দাবি উঠছে, মানে বোঝাই যাচ্ছে সরকার কতোটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।’
এদিন ফের একবার সেই করি প্রসঙ্গে কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন যে, ‘যে রক্ষা করবে বলে মানুষ ভোট দিয়েছিল সেই এখন লুঠ করছে। কেন্দ্রের কাছে তাই আবেদন মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করুক কেন্দ্রীয় সরকার’। পাশাপাশি এদিন হাঁস খালির ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘মোমবাতিদেখিয়ে পেট চলত। পেটে এত চর্বি হয়ে গিয়েছে। হাঁটতে অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। মোমবতি দেখিয়ে আগে দোকান চলত। এখন মোমবাতি দেখালে দানাপানির অসুবিধা হয়ে যাবে। এদের কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না।’ এছাড়াও বুদ্ধিজীবীদের একাংশের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন শর্টকাট মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। এতে তেমন কোনও লাভ হয় না।’
উল্লেখ্য, এদিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে রামমন্দিরের প্রসাদ নকুলদানা বিলি করতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। নকুলদানা, তাও আবার দিলীপ ঘোষ! কেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, ‘আমি সবাইকে রামমন্দিরের প্রসাদ নকুলদানা খাওয়াচ্ছি। এতদিন যিনি নকুলদানা খাওয়াতেন তিনি এখন হাসপাতালের ভাত খাচ্ছেন। সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। বাকি জীবনটা লালুপ্রসাদের মত কাটবে ওনার। তাই তাঁর দায়িত্ব আমরা পালন করছি।’