এবার বন্দে ভারত নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে বিপাকে দিলীপ ঘোষ। বন্দে ভারতে হামলা নিয়ে তৃণমূলকে দুষেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু রেলের বক্তব্যে কার্যত মন্তব্য করে বিপাকেই পড়েছেন তিনি। এখন অবশ্য তার সাফাই, "ঘটনা যে রাজ্যেই হোক, সরকারের দায়িত্ব ট্রেনকে রক্ষা করা"।
বন্দে ভারতে হামলা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করছিল বিজেপি। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই রেল সাফ জানিয়েছে এই ঘটনা ঘটেছে বিহারে। এমনকি ধরা পড়েছে তিন অভিযুক্ত। তারা জানিয়েছে মজা করার ছলেই তারা ঢিল ছুড়েছিল বন্দে ভারতে। আর এরপরেই কার্যত মুখ পুড়েছে বিজেপির। রেলের এই বক্তব্য সামনে আসার পর থেকেই বিজেপিকে পাল্টা দুষে সুর চড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। ট্রেনে হামলা নিয়ে তৃণমূলকেই দায়ী করায় বিজেপি নেতাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
এবার ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টে হাত লাগিয়েছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, "নয়া ভারতের প্রজেক্ট। প্রধানমন্ত্রীর ড্রিম প্রজেক্ট। ফলে সবার একটা সেন্টিমেন্ট থাকে। ফলে এরকম ঘটনায় আমরা সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ি, জল্পনা করতে থাকি। জানি না রেল কাকে ধরেছে? কোথায় ধরেছে? কোন জায়গায় হয়েছে? বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন মতামত আসছে। ঘটনা যে রাজ্যেই হোক, সেই সরকারের দায়িত্ব এই ট্রেনটাকে রক্ষা করা"।
প্রসঙ্গত, গতকাল রেলের এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "বাংলাকে বদনামের চেষ্টা বরদাস্ত নয়। এই অপচেষ্টার করা নিন্দা করছি। বন্দে ভারতের পাথর ছুঁড়ে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা করা হয়েছে। যারা ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে"।
এরপরেই তিনি বিহার থেকে বন্দে ভারতের উপর হামলা হয়েছে এই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "বিহারের মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। গণতান্ত্রিক খুব থাকলে তারা একটা ঘটনা ঘটিয়েও থাকলে তাদের তো অপমান করা যায় না। আমি মনে করি তাদেরও পাওয়ার অধিকার আছে। ক্ষমতায় বিজেপি সরকার না থাকলে কি পাওয়ার অধিকার নেই"?
- TAGS
- বন্দে ভারত
- দিলীপ ঘোষ
- রেল