বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন-পুরাতন দ্বন্দ্ব ভুলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে আবারও নতুন করে ঝাঁপাতে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। রবিবার নিউ টাউনে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন। এদিন তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নতুন-পুরনো সকলে আছেন পার্টিতে। মাঝে একটু খানি ডামাডোল চলছিল পার্টিতে, নতুন লোক দায়িত্ব নিয়েছেন সবাইকে গুছিয়ে উঠতে সময় লাগছে। আবার পার্টি আস্তে আস্তে লাইনে এসে গিয়েছে। পুরোনো-নতুন সকলে একসঙ্গে ঝাঁপাবে।’
এদিকে, ইতিমধ্যেই ২ দিনের বৈঠকে বসেছে রাজ্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এই বৈঠক ঠিক কী বিষয়কে কেন্দ্র করে? এর জবাবে মেদিনীপুরের সাংসদ জানিয়েছেন, ‘যাঁদের নতুনভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সকলেই থাকছেন। মিটিং হবে, এত বড়ো আন্দোলন হয়ে গেল, গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছি। নতুন রণকৌশল কী হবে? দুর্গাপুজোয় পার্টি কী ভাবে এগোবে- এই সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।’
অন্যদিকে, এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যে বর্তমান সরকার কতদিন চলবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে রবিবার নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যেভাবে ধরা পড়ছে নতুন নতুন চুরি, তাতে কেউ গায়েব হয়ে যাচ্ছেন, কেউ চলে যাচ্ছেন তাতে কত দিন চালাবে দেখা যাক।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারি বলেছিলেন যে, ‘দিসেম্বরের পরে আর সরকার চালাতে দেব না।’ শুভেন্দুর সেই দাবিকে পরোক্ষে সমর্থন জানিয়ে দিলীপের মন্তব্য, ‘উনি ওনার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন।’
অন্যদিকে, গতকাল টিটাগড়ের স্কুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কথায়, ‘এটা নতুন কিছু নয়। ওখানে রাজনীতি এই রকম। ক্রিমিনালরা রাজনীতি কন্ট্রোল করছে। কাজকর্ম নেই, বহু ছেলে ঘুরে বেরোচ্ছে। তাদের হাতে বোম, বন্দুক ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ এর পাশাপাশি ভরতপুর থানা ঘেরাও প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল দিলীপ ঘোষ।
পাশাপাশি শাসকদলের সঙ্গে পুলিশের আঁতাতের অভিযোগও করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গরু পাচারের টাকা, কয়লা বালি পাচারের টাকা পুলি, তুলে দিত। পুলিশের যেটা কাজ সেটা করছে না। পুলিশ পার্টির হয়ে এসব কাজ করত। অন্য রাজ্য থেকে এসে পুলিশ ড্রাগ পাচারকারীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, এখানকার পুলিশ খোঁজও রাখে না। রাজনীতির কাজও পার্টিকে টাকা দিতে গিয়ে পুলিশও ওই ধরনের ব্যবসাতে নেমে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।’ সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, বাংলায় প্রশাসন বলে কিছুই নেই বর্তমানে।