নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ গাংনাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে দ্বিতীয়বার ময়নাদতন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কবর থেকে তুলে পাঠানো হল হাসপাতালে।
নদিয়ার গাংনাপুর থানার খাগড়া ডাঙ্গা গ্রামে গত ৬ মার্চ শ্বশুরবাড়িতে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ১৪ মার্চ ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। মৃত বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, থানা তাঁদের অভিযোগ নেয়নি। এরপর নির্যাতিতা বধূর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্যাতিতার বধূর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
এদিকে, ইতিমধ্যেই গাংনাপুর থানার পুলিশ ওই ঘটনায় ৬ জনকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে। পরে আরও একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। এরপর এদিন কবর থেকে দেহ তুলে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট বাগচী জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মৃতার দেহ কবর থেকে এদিন তোলা হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের যে সমস্ত নিয়ম আছে সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশকেও বাকি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী নেওয়া হবে।
এদিন কবর খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট বাগচী, তদন্তকারী অফিসার, ডেপুটি পুলিশ সুপার, ওই গৃহবধূর পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বাবলু চক্রবর্তী সহ অনেকেই। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ তোলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতিতার মা প্রথমদিকে দ্বিতীয়বার কবর খুলে মৃতদেহ তুলতে দিতে অরাজি ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে কবর খুঁড়ে মৃতদেহ তোলার চেষ্টা করা হলে, তিনি আপত্তি জানান। পরে অবশ্য সবার সঙ্গে কথা বলে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হয়। এদিন নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন যে, হাইকোর্ট ময়নাতদন্ত দ্বিতীয়বার হবে নির্দেশ দেওয়ায় নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সব নিয়ম মেনেই হয়েছে। তিনি অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।