বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে বসে রয়েছেন পার্থ এবং অর্পিতা। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর এই প্রথম মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ খুলেই বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিন নজরুল মঞ্চে বঙ্গবিভূষণের অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সারাজীবন আমি রাজনীতি জীবন ভোগ করার জন্য করিনি। আমার ধারণা ছিল রাজনীতি মানে ত্যাগ। সারাজীবন রাজনীতি করেছি দেশসেবার জন্য। কিন্তু রাজনীতিকদের মধ্যেও পার্থক্য থাকে। স্কুলে কি সব পড়ুয়া কি একরকম হয়? এক গাছে কি কলা আর আপেল হয়? আম আর আমড়া হয়? অন্যায়কে আমি সমর্থন করি না। দুর্নীতিকে সমর্থন করা আমার জীবনের নেশাও নয়, পেশাও নয়। আমি ১ লাখ টাকা করে সংসদের পেনশন পাই। এমএলএ বা চিফ মিনিস্টার হিসেবেও ২ লাখ করে পাই। অর্থাৎ মোট ৩ লাখ। কিন্তু ১১ বছরে একটা টাকাও নেইনি।’
নেত্রীর কথায়, ‘আজ আমি সত্যিই দুঃখিত, মর্মাহত। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জন্য। সবাই সাধু একথা আমি বলতে পারব না। সাধুর মধ্যেও ভূত আছে। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করি না। আমি না জেনে কোনও অন্যায় করে থাকলে, ভুল সংশোধনের সুযোগ চাইব। ক্ষমা চাইব।’ কিন্তু কোনও এক মহিলাঘটিত ব্যাপারে যেভাবে আমার ছবিতে কালি ছেটানো হচ্ছে, তারা যেন মনে রাখে আমার কাছেও আলকাতরা আছে। যা ওয়াশিং মেশিনেও যাবে না। যে অন্যায় করেছে, তাঁকে হাজারবার বলুন। কিন্তু বিচারের আগেই কাঁটাছেড়া কেন? বিচারের আগেই বিচার কেন? আমি পুজোয় যাই। উদ্যোক্তারা যদি কাউকে ডেকে রাখে, সে যদি মঞ্চে থাকে, তাকে যদি আমি না চিনি, তাহলে আমার কী করার আছে? সে নাকি পার্থর বন্ধু? আমি কি ভগবান, জানব কে কার বন্ধু!’
মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, ‘সত্যি প্রমাণিত হোক। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আই ডোন্ট মাইন্ড। যে মহিলার বাড়িতে টাকা উদ্ধার হয়েছে, দলের সাথে তার কোনও সম্পর্ক নেই। সরকারের সাথেও নেই। কেউ দোষ করে থাকলে, সে নিজে তার দায়িত্ব নেবে। কেউ চোর, ডাকাত হলে তৃণমূল রেয়াত করে না। কিন্তু একটা মহিলার ব্যাপার নিয়ে সবাইকে অসম্মান করা হচ্ছে।’
এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিজেপি, সিপিআইএম আমার নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে। টাকার পাহাড়ের পাশে কেন আমার ছবি? আমি বই লিখি। খেটে ইনকাম করি। আমি গানের সুর দিই। তার থেকেও রয়্যালটি পাই। ১২০টা বই বেরিয়েছে আমার।’ অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন এসএসকএম থেকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে হবে? কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে কেন?’