রেফার রোগে জেরবার রাজ্য সরকার। জেলা হাসপাতালগুলির তরফে যে পরিমাণে রোগীকে রেফার করা হয় তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের এক পর্যালোচনা বৈঠকে এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেখা গিয়েছে প্রসূতিদেরকেও রেফার করে জেলা হাসপাতাল গুলি। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রস্তুতিদের মৃত্যু হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গেই এ দিন খুব প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রেফার করা আপনারা কবে বন্ধ করবেন? প্রসূতিদের কেউ রেফার করা হচ্ছে। তারপর তারা গাড়ি জার্নি করে অন্যত্র হাসপাতালে ভর্তি হলেই তাদের মৃত্যু হচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে? এর দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। যদি এরকম হয় তাহলে যে রেফার করছে তাকে যে মারা গিয়েছে তার দায়িত্ব নিতে হবে, প্রয়োজনে ভিডিও কলে জেলা হাসপাতালে সুপারের সাহায্য নিতে হবে।"
এরপরেই স্বাস্থ্য সচিব কেও খানিকটা ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "কখনো আপনারা সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন? কখনো বাজারে, যান কখনো হাসপাতালে যান। যেন কোনো রকম গাফিলতি না হয় গাফিলতি একটা অপরাধ এটা অবিলম্বে সংশোধন করা উচিত।" মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব জানান, রাজ্যের রেফার হোক অনেকটাই কমেছে। যেটা আগে ৮% ছিল তা কমে এখন ৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। সমস্যা আরো দ্রুত মেটানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে রেফার সমস্যা ছাড়াও, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরানো বা তার অপব্যবহার নিয়েও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, কোন বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরালে সে ক্ষেত্রে সেই হাসপাতালে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। যদিও এই সতর্কবাণী মুখ্যমন্ত্রী আগেও দিয়েছিলেন। এছাড়াও এই দিন প্রতি মাসে জেলাশাসকদের বৈঠকে বসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি যারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর অপব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধেও করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।