মোবাইলে ফ্রী ফায়ার গেমে আসক্ত ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এতে ক্ষতি হচ্ছিল পড়াশোনার। তাই গেম খেলতে বারণ করেছিল পরিবারের লোকজন। এরপরে অভিমানের চোটে ফোন ভেঙে দেয় ওই ছাত্র। পরে অবশ্য আবার ফোনে গেম খেলতে। কিন্তু এরপর সে যা কান্ড ঘটালো তাতে কার্যত হতবাক পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল ১২ বছরের দেবপ্রসাদ সর্দার। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন পড়াশোনাতে ক্ষতি হচ্ছে বলে তাকে গেম খেলতে নিষেধ করে। এমনকি মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর কিছুদিন স্বাভাবিক ভাবেই চলে।
এদিকে গত মঙ্গলবার আবারও পরিবারের লোকজন অনলাইন গেম খেলতে নিষেধ করে কিশোরের থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বকাবকি করে। এর পরেই বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর। পরিবারের লোকজন দেহটি উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের মধ্যে। কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ডহারবার পুলিশ মর্গে পাঠায় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। এরপরে বারবার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি শিশুদের আর দেখতে পারবেনা বাবা মা? অল্পতেই যদি তারা অভিমানী হয় তাহলে অবশ্যই চিন্তা থাকছে শিশু বিকাশের ক্ষেত্রে মনস্তত্ত্ব নিয়ে।