শিক্ষকদের জন্য সুখবরের ধারা অব্যাহত সোম, মঙ্গলের পরে বুধবার নিয়োগ নিয়ে সুখবর শোনালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবারই ২৩ জনকে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার ওই ২৩ জনের সঙ্গে আরও ৫৪ জনকে পুজোর আগেই চাকরি দেওয়া হবে জানান তিনি। এরপর বুধবার এই তালিকায় যোগ হল আরও ১১২ জনের নাম। অর্থাৎ আগের ৭৭ জন এবং আজকের ১১২ জনকে মিলিয়ে মোট ১৮৯জনকে নিয়োগ করতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যেই তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রাথমিক পর্ষদের ভুলে ২৩ জন চাকরি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। করেছিলেন জনৈক এক চাকরিপ্রার্থী। এরপর এই অভিযোগ মেনেও নিয়েছিল পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। এমনকি তারা নিজেদের ভুলও স্বীকার করেছিল। তা সত্ত্বেও নিয়োগের বিষয়টি ঝুলেই ছিল। এরপর এদিন এ বিষয়েই রায় শোনালো কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলাকারীরা আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুল ছিল। কারণে চাকরিপ্রার্থীরা ছয় নম্বর কম পেয়েছিলেন। আর তার জেরেই তাদের চাকরি আটকে গিয়েছিল। এরপর গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ স্বীকার করে নেয় তাদের ভুলের জন্যই ওই ২৩ জন চাকরি প্রার্থী ৬ নম্বর পাননি। তবে ভুল স্বীকার করলেও নিয়োগ নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে পর্ষদের যুক্তি ছিল, সেই মুহূর্তে কোন শুন্যপদ ছিল না।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে এই ২৩ জন চাকরি প্রার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান এই ধরনের যত মামলা আসবে সেই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে দেখবে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে, এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, তিনি ২৮ তারিখ খোঁজ নেবেন নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশ মত বাস্তবায়িত হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে। যদি দেখা যায় কোনো ভাবে পর্ষদ নির্দেশ মানেনি তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।