বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যে প্রাথমিক, উচ্চশিক্ষা দফতরে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য প্রশাসন। এবার দমকল বিভাগে নিয়োগ নিয়েও উঠছে বেনিয়মের অভিযোগ। দমকল বিভাগে নিয়োগ ঘিরে জটিলতা অব্যাহত। দমকল বিভাগে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট বড় সিদ্ধান্ত নেয়। দমকল বিভাগের দেড় হাজার পদে নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আরও বাড়ল সেই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।
কাজেই এই সময়সীমার মধ্যে নতুন কোনও নিয়োগ করা যাবে না। সোমবার পিএসসির আবেদন মঞ্জুর করে এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন আরও ১৫ দিন অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী এক সপ্তাহ সময় দেওয়ার আবেদন জানান। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি। আগামী সোমবার রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগে অপারেটর পদে দেড় হাজার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। অভিযোগ ছিল দমকল বিভাগের অপারেটর পদে নেওয়া পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল ছিল। এমনকি খেলোয়াড় কোটা বা অগ্নিনির্বাপণের প্রশিক্ষণের শংসাপত্র থাকলে, যে বাড়তি নম্বর বা সংরক্ষণ পাওয়া যায়, তাও দেওয়া হচ্ছিল না চাকরিপ্রার্থীদের। এখানেই শেষ নয়, সাধারণ চাকরি প্রার্থীকেও তফসিলি কোটায় চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
সেইসব অভিযোগ নিয়ে প্রথমে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উক্ত পরীক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। তবে, তাঁদের সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি। এই মামলা উঠছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চে। গত সোমবারও এই মামলার শুনানি হয়েছিল। সেই শুনানিতেও নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। এরপর আজ তার মেয়াদ বাড়ানো হল।
এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি শম্পা দত্তপালের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) নির্ধারিত সময়ে হলফনামা জমা দিতে না পারার কারণেই এই মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ানো হল।