বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মিলল না স্বস্তি। সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে কোর্টে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে খারিজ হয়ে গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের করা মানহানির মামলায় সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে আদালতে শুভেন্দু অধিকারীকে। বুধবার এমন নির্দেশই দিয়েছেন বিচারপতি। আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের সময় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ‘বাবার ত্যাজ্যপুত্র’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেন তিনি। এদিকে, এই মামলা লড়তে আইনজীবীদের একটি বড় টিম এনেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দাখিল করা পিটিশনে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি পুরব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। তাই আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভবপর নয়। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে, যেন ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ছাড় দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মিলল না ছাড়। এদিন সেই মামলার শুনানিতে তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।
১৯ মিউনিসিপ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দীর্ঘ শুনানির পর অর্ডার রিজার্ভ রাখা হয়েছিল। এবার অর্ডার দিয়েছেন বিচারপতি। শুভেন্দুর আর্জির পাল্টা এদিন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, পিটিশনে লেখা হয়েছে যে, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় বসেন। রাজনীতির কারণে তাঁকে সারা বাংলায় ঘুরতেও হয়। তাহলে সেক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতার অফিস তো আদালত থেকে মাত্র ৩০০ মিটারের ব্যবধানে অবস্থিত। তিনি অফিসে আসতে পারলে কোর্টে আসবেন না কেন? কুণালের আইনজীবী এও বলেন যে, আদালতকে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রবণতাও ঠিক নয়। কুণালের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরই আদালত শুভেন্দু অধিকারীর পিটিশন খারিজ করে দেয়।