বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে এবার তাঁর মন্তব্যে লাগাম টানার কড়া নির্দেশ দেওয়া হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলার সময় তাঁকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে যে, ‘দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দলকে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশেই তিনি চিঠি লিখেছেন।
এক কথায় সেন্সর করা হল দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে সেন্সর করল দল। সেই সঙ্গে চিঠি পাঠিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করা হল তাঁকে। জানা গিয়েছে, আপাতত সংবাদমাধ্যমে দল নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন না তিনি। চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশেই দিলীপ ঘোষকে সেন্সর করা হল। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সামনে দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দলের ক্ষতি সম্ভবনা রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে। তাই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে সংযত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, দিলীপ ঘোষ বরাবরই তাঁর মন্তব্যের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে দিলীপের হিংসামূলক, অপমানজনক এবং উস্কানিমূলক কথাবার্তা নিয়ে। শুধু বিরোধীরাই নন, সম্প্রতি তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা অপেক্ষাকৃত কম। আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়’র প্রসঙ্গেও তিনি বেশকিছু আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এবার সংবাদমাধ্যমের মুখ না খোলার নির্দেশ দেওয়াকে, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।
চিঠিতে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আপনার কিছু কথাবার্তা রাজ্য নেতৃত্বকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে। এর আগেও এই বিষয়ে আপনাকে সতর্ক করা হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম যে, আপনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। কিন্তু, আপনার সাম্প্রতিক সময়ের মন্তব্যে দলীয় কর্মীরা ফের অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাই এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’
এদিকে, এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। দলের একাংশ মনে করছেন যে, বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি সংবাদমাধ্যমের সামনে কী বলবেন, সেই বিষয়ে কেন্দ্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ রীতিমতো ‘অসম্মানজনক’। অন্যদিকে, এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি। তাদের মতে, দলবদলুরা এবার তাঁকে ‘একঘরে’ করে দিচ্ছে।