বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একাধিক বার তলবের পর অবশেষে নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য একাধিকবার সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এর আগে একাধিকবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এবার তিনি নিজেই হাজিরা দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কারণ জানা গিয়েছে, কিছুদিন পরেই অনুব্রিত মণ্ডলের একটি অপারেশন রয়েছে। তারপরে তিনি সিবিআই-এর দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। তাই তিনি আজ হাজিরা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অবশেষে আজ সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ৫০ নাগাদ সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছান তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। এদিন ১০ টায় হাজিরার কথা থাকলেও, সময়ের আগেই কালো রঙের চারচাকাতে তিনি সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছান। তবে, এদিন তাঁকে বুকের বাঁদিকে হাত রেখে নিজাম প্যালেসে ঢুকতে দেখা গেল। পরনে ছিল হালকা সবুজ রঙের ঢিলেঢালা পাঞ্জাবি। তাঁকে এদিন দৃশ্যত বিধ্বস্ত লাগছিল।
এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আসার আগেই নিজাম প্যালেসে হাজির হন তাঁর আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ পাতার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। এদিন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতাকে জিজ্ঞসাদাবাদের সময় সেখানে থাকবেন একজন এসপি, একজন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারও থাকবেন। এই জিজ্ঞাসাবাদের পর্বে সিবিআই-এর সবথেকে বড় অস্ত্র এনামুল হকের বয়ান। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি চিনতেন, এই পরিচয় গরু পাচার সূত্রেই। এমনকি এনামুল হক তাঁর বয়ানে এও জানিয়েছেন যে, আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল। এনামুল হকের বয়ানের উপর ভিত্তি করে একাধিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এর মধ্যে যেমন রয়েছে- অনুব্রত মণ্ডল কি এনামুল হককে চিনতেন? তাঁদের মধ্যে কি কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল?
এদিকে, ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, বেশিরভাগ গরু বীরভূম হয়েই আসত। ঝাড়খণ্ড-বিহার হয়ে বীরভূমের ওপর দিয়েই মুর্শিদাবাদের সীমান্ত পার করে গরু পাচার হত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবারই ইমেল মারফত সিবিআই দফতরে হাজিরার ইচ্ছাপ্রকাশ করে অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে যতবারই তাঁকে তলব করা হয়েছে তিনি হাজিরার আগেই পৌঁছে গিয়েছেন হাসপাতালে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগে। তবে, এবার তিনি মুখোমুখি হলেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-প্রশ্নমালার।