1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

বড় স্বস্তি পেলেন কেষ্ট! গরু পাচার মামলার মাঝেই মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস

আত্রেয়ী সেন

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২, ০১:১৪ পিএম

বড় স্বস্তি পেলেন কেষ্ট! গরু পাচার মামলার মাঝেই মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে আসানসোলের জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় জামিন না মিললেও, এবার বড় স্বস্তি পেলেন তিনি। বস্তুত গরু পাচার মামলা চলাকালীন সম্প্রতি বাম আমলের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল। এবার সেই মামলা থেকেই তিনি বেকসুর খালাস পেলেন। কারণ মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ কাণ্ডে বীরভূমের এই দাপুটে নেতার যোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

এদিন তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন যে, পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে মঙ্গলকোট হিংসা মামলায় অনুব্রত-সহ মোট ১০ জনকে বেকসুর খালাস করে দিল বিধাননগর আদালত। এদিনই তাঁকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়। আজ সওয়াল-জবাবের পর কোনও তথ্য-প্রমাণ না মেলায়, তাঁকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেন বিচারক।

এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সৌভিক বসু জানিয়েছেন, ‘আজ আমার মক্কেল অনুব্রত মণ্ডল আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে আদালত বেকসুর খালাস করেছে। মঙ্গলকোট হিংসা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে মামলাকারীর আইনজীবীরা।’

অন্যদিকে, এদিন এই মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার পর, আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে, সেই পুরনো-চেনা ছন্দে পাওয়া গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের বেকসুর খালাস করল আদালত। সত্যের জয় হল। এটা ২০১০ সালের কেস। আমার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছিল। আজ মহামান্য আদালতে রায়ে আমরা বেকসুর খালাস পেলাম।” এরপরই তাঁর উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়, পরবর্তী মামলাতেও কি এভাবেই মুক্ত হবেন? আত্মবিশ্বাসী কেষ্টর উত্তর, ‘আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? খালি দেখতে থাকুন কী হয়।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১০ সালের ৫ মার্চ মঙ্গলকোটের লাখুরিয়ার মল্লিকপুর গ্রামে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেবুলাল শেখ নামে এক ব্যক্তি আহত হন। এরপর এই ঘটনায় চার্জশিট দেয় মঙ্গলকোট থানা। সেই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ ১৫ জনের নাম ছিল। এই মামলাতেই এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় অনুব্রতকে। সেদিন শুনানির শেষে রায় দান স্থগিত রাখেন বিচারক। আজ রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারক।

সেই কারণেই আজ সকালেই আসানসোল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রিজন ভ্যানের পরিবর্তে এদিন গাড়ি করে আদালতে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন আসার পথেই আত্মবিশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন যে, দিদি পাশে, এটাই যথেষ্ট তাঁর জন্য। এবার বাম আমলের হিংসা মামলা থেকে রেহাই মিলতেই সেই পুরনো আত্মবিশ্বাস লক্ষ করা গেল তাঁর শরীরী ভাষাতেও।

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন