বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুতে ক্ষোভ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা আমতা। এই পরিস্থিতিতে, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে এসআই নয়, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে এই খুনের ঘটনার তদন্ত করানোর নির্দেশ দেওয়া হল জেলা পুলিশ সুপারকে।
আগেই ছাত্রনেতা আসিন খানের মৃত্যুর তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই অভিযোগের পরই ভবানী ভবনে ডাকা হয় হাওড়ার গ্রামীণ এসপিকে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান ডিজি। এদিন ভবানী ভবনে হাওড়ার গ্রামীণ এসপির সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এরপর গোটা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে, শেষপর্যন্ত নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণভাবে কোনও খুনের মামলা রুজু হলে সেই খুনের তদন্ত করেন এসআই পদমর্যাদার অফিসার। কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু এই ছাত্রনেতার ঘটনার গুরত্ব অনেকটাই বেশি এবং এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করেই তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে। ফলে পুলিশ পরিচয়ে খুনিরা এসেছিল, নাকি সত্যিই পুলিশ এসেছিল ঘটনার সময় আনিসের বাড়িতে, তাও তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে, মৃত আনিসের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলি হল, পুলিশকে রাতে ফোন করার পর পুলিশ এসেছিল পরের দিন। বাড়ির উপর থেকে নীচে পড়ে যাওয়ার পরও মৃতদেহ অনেকক্ষণ ধরে সেইভাবেই পড়েছিল। কারণ পুলিশ আসেনি। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেনি পুলিশ। কাজেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। আনিসের মোবাইল ফোনও মিলছে না। সর্বশেষ খুব তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করে ফেলা হয়েছে।
অন্যদিকে, খুনের মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা সেই বিষয়টিও আলাদাভাবে খতিয়ে দেখার জন্য অ্য়াডিশনাল এসপি পদমর্যাদার অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।