বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক কথায় নজিরবিহীন বলা যায়। এদিন রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড বাধল। বিধানসভা কক্ষেই বগটুই কাণ্ড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের শাসকদল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়করা।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার দাবি, শাসকদলের বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কিতে তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়। তাঁর এও অভিযোগ, তাঁকে নাকি ঘুসিও মারা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে বিধানসভায় সাসপেন্ড প্রস্তাব পেশ করেন ফিরহাদ হাকিম। ওই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির ৫ বিধায়ককে। এরা হলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, শংকর ঘোষ এবং দীপক বর্মা।
রামপুরহাট বগটুই গ্রামের কাণ্ড নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে আজ উত্তাল হয় বিধানসভা। বিধায়করা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। কিল-ঘুষি-চড় সবই চলে। কারও আবার চশমা ভাঙে। ওয়েলে নেমে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।
আজ বিধানসভায় রামপুরহাট ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিধানসভায় বিক্ষোভ এবং ওয়াকআউট চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন তা চরম আকার নেয়। বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এরপরই এই নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। শেষে তা হাতাহাতির পর্যায়ে যায়। অভিযোগ বিজেপি বিধায়করা তৃণমূল বিধায়কদের মারধর করে। এমকি শুভেন্দু অধিকারীো মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতির দাবি জানিয়ে, প্রথম দিন থেকেই উত্তাল বিধানসভা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারকে লক্ষ্য করে কাগজ ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির দাবি, রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় যতক্ষণ না আলোচনা হচ্ছে তাঁরা এভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে, এই বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন এর লড়াই হবে।