বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ। বাংলাও এই বিক্ষোভের আঁচ থেকে বাদ যায়নি। বিহারের পরিস্থিতি বেশি খারাপ এই বিক্ষোভের জেরে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দেশব্যাপী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে গোটা দেশে। ব্যাপক নষ্ট হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। অগ্নিপথের প্রতিবাদের জেরে জ্বলছে দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে স্টেশনে ভাঙচুর করাও হয়েছে। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হয়েই চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে এবার কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, সেনা নয়, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। চাকরি দেওয়ার নামে ক্যাডার তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। গোটাটাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ক্যাডার তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। এই প্রকল্পে দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করা হচ্ছে বলেই এদিন তিনি মত পোষণ করেন।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় একাধিক ইস্যুতে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের প্রসঙ্গ উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অগ্নিপথ প্রকল্পে চার বছরের যে চাকরি , তা সেনার চাকরি নয়। এটি সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়নি, ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। চার বছরের চাকরির নামে ২০২৪-এর গে ক্যাডার তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।’
এই প্রকল্পের ঘোষণার শুরু থেকে এই প্রকল্প এবং ‘অগ্নিবীর’দের ৪ বছরের পরের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। বেশ কিছু সংগঠন এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে এদিন ভারত বনধের ডাকও দেয়। এই পরিস্থিতিতে এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চার বছরের চাকরি চলে গেলে কী হবে, কেউ জানে না। অথচ সবাই বন্দুক চালানোর লাইসেন্স পেয়ে গেল! সারা দেশে আগুন নিয়ে এইভাবে খেলা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, এদিন বিধানসভায় অতি চর্চিত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, ‘১ লক্ষের চাকরি হয়ে থাকলে, তার মধ্যে ১০০ তা ভুল অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কিন্তু সেই ভুল সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।’