রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। মুহূর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটছে চারপাশে। আক্রমণ শানাচ্ছে রাশিয়া। বোমা-বারুদের গন্ধে ভারী ইউক্রেনের বাতাস। প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন ইউক্রেনবাসী। প্রতিমুহূর্ত তাদের কাটছে আতঙ্কে, আশঙ্কায়। এসবের মাঝেই নতুন করে আশার আলো ছড়িয়ে এক দৃশ্য। কিয়েভের মেট্রো স্টেশনের বাঙ্কারে ছোট্ট এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন বছর ২৩-এর এক তরুণী। এ যেন ধ্বংসের মাঝেই সৃষ্টি! ইউক্রেন প্রশাসন তাই সদ্যোজাতর নাম রাখল ‘স্বাধীনতা’ (Freedom)।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে ঘটনাটি ট্যুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিয়েভের একটি মেট্রো স্টেশনের নীচে বাঙ্কারে আশ্রয় নেন অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী। সেখানেই তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তরুণীটি চিৎকার করতে শুরু করলে, ইউক্রেনের পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তায় পৃথিবীর আলো দেখে সদ্যোজাত। এক পুলিস আধিকারিকের কথায়, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মা ও শিশু, দু’জনেই সুস্থ রয়েছে।
এই ঘটনার বর্ণনাতেই ইউক্রেন বিদেশ মন্ত্রকের ট্যুইটে লেখা হয়, `যতদূর জানা যায়, এই প্রথম কিয়েভের শেল্টারে জন্ম নিল এক শিশু। মাটির নীচে, জ্বলন্ত বিল্ডিং ও রুশ ট্যাঙ্কের টহলের মাঝে আমরা ওকে স্বাধীনতা বলে ডাকব।` শিশুটির মা অবশ্য তার নাম রেখেছেন মিয়া। আর এই মন ভালো করা দৃশ্য দেখে আনন্দে চোখ খুশিতে মেতেছেন নেটিজেনরাও। বিপদের মাঝে শিশুটির জন্ম যেন এক স্বস্তির খবর নিয়ে এল। ফলে এই খবর নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে।