বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের প্রতিশোধ নীল আমেরিকা। এই প্রতিশোধের মধ্যে দিয়েই ৯/১১- র ঘটনার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। বিশ্বের অন্যতম বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার মূলচক্রী অবশেষে মার্কিন সেনার হাতে খতম হল। কাবুলে মার্কিন সেনার হাতে খতম আল কায়দা চিফ অয়মান অল- জাওয়াহিরি। আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন সেনার অভিযানে, ড্রোন হামলায় খতম হয়েছে আল কায়দার অন্যতম মাথা এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসবাদী হামলার মূলচক্রী। আল কায়দা প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসবাদের হামলায় বড় সাফল্য আমেরিকার, এমনই বার্তা দিতে চেয়েছেন বাইডেন। মার্কিন ড্রোন হামলায় ৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি খতম হওয়ার ঘোষণা করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য ‘ন্যায়বিচার হয়েছে এবং জঙ্গিনেতা শেষ’।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি জারি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমার নির্দেশে শনিবার কাবুলে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় নিহত আল কায়দার প্রধান অয়মান অল-জাওয়াহিরি।’ তিনি আরও বলেন যে, ‘বিচার হয়েছে এবং জঙ্গিনেতা মারা গিয়েছে। যত সময় লাগুক না কেন, যে বা যারা আমেরিকার মানুষজনকে বিপন্ন করবে, তারা রেহাই পাবে না। ৯/১১ হামলায় জড়িত ছিল ওই জঙ্গি। সে ওসামা বিন লাদেনের দ্বিতীয় সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল।’
বাইডেন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই কাবুলের একটি বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই বাড়ির বারান্দায় ছিলেন। ওই হামলাতেই খতম করা হয় আল কায়দা প্রধানকে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, ওই জঙ্গিনেতাকে হত্যা করতে, মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানের মাটিতে পা দেননি। তাঁদের মতে, ২০২০ সালে দোহাতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল, কাবুলে আল-জওয়াহিরির উপস্থিতি স্পষ্টতই সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ৩১ অগস্ট ২০২১-এ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর জঙ্গি নিকেশ করতে এই প্রথম আকাশ পথে অভিযান চালালো আমেরিকা।
অন্যদিকে, এদিন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা প্রসঙ্গে ,মারজকিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘প্রায় ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আমি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছি। আমার মনে হয়েছে সে দেশে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের কোনও কারণ নেই। তবে আমরা আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমন অভিযান চালিয়ে যাব এটা ঠিক করাই ছিল। আমেরিকার বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে কেউ রেহাই পাবে না।’ উল্লেখ্য, কাবুলে হামলার কথা স্বীকার করেছে তালিবানও। তাঁদের অভিযোগ, কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে যৌথভাবে আল কায়দা প্রতিষ্ঠা করেছিল অয়মান অল- জাওয়াহিরি। পেশায় জাওয়াহিরি একজন মিশরীয় চিকিৎসক। ২০১১ সালে লাদেনের মৃত্যুর পর সংগঠনের দায়িত্ব পুরোপুরি নিজের হাতে নেয় জাওয়াহিরি।