বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিক্ষোভ-সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে মানুষের রোষের শিকার হলেন দুই ভারতীয় জওয়ান। জানা গিয়েছে, তাঁরা রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ ছিলেন। মঙ্গলবারই বিএসএফ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়। এই দুই জওয়ানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাশাপাশি তিনি সুবিচারের দাবিও জানিয়েছেন। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কঙ্গোর গোমা শহরে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছিল। সেই বিক্ষোভে ৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন মানুষ আহত হন। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন দুই ভারতীয় জওয়ানও।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, গোমা শহরের বুটেম্বো এলাকাতে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছিল। ওই এলাকাতেই নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মৃত দুই ভারতীয় জওয়ান। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা গুরুতর আহত হন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। টুইট করে শোকপ্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘কঙ্গোয় দুই বিএসএফ জওয়ান যাঁরা ভারতীয় শান্তিরক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন, তাঁদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। যাঁরা এই হামলা করেছেন, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।’
জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকেই বিক্ষোভ চলছে কঙ্গোয়। বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। শতাধিক মানুষ গোমা শহরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে হামলা চালায়। এমনকি সেনা ঘাঁটিতেও তাঁরা হামলা করেন। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে ভাঙচুরও করে।
এমনও দাবি করা হচ্ছে, কঙ্গোর কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্পত্তি লুঠের উদ্দেশ্যে অশান্তি চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের অনেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাঁরা সংখ্যাতেও অনেক বেশি ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে শান্তিরক্ষা বাহিনী। সেই সময় সাময়িকভাবে বিক্ষোভকারীরা হটলেও, পরে আবার ফিরে আসে। বিপদ বুঝে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সাধারণ কর্মীদের নিরাপদ স্থানে হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুই বিএসএফ জওয়ানের।