বিয়েবাড়ি মানেই হইহট্টগোল, হাসি-মজা। চারপাশে যেন উৎসবের মেজাজ। আর তার সঙ্গেই বিয়েবাড়ির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ খাওয়াদাওয়া। বিয়েবাড়ির খাওয়াদাওয়া মানে এক এলাহি ব্যাপার। ভুড়িভোজের কত আয়োজনই না থাকে সেখানে। তবে এই খাবার দিয়ে যদি বেঁধে যায় তুমুল হাতাহাতি! এবার এবার ঠিক সেরকমই ঘটনার সাক্ষী রইলেন এক বিয়েবাড়ির অতিথিরা।
জমিয়ে ভুড়িভোজ করতে বসেছেন, এদিকে শেষপাতে নেই রসগোল্লা। এই কারণের বিয়েবাড়িতে শুরু হল মারামারি। কনেপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন পাত্রপক্ষ। এমনকি ঘটে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড-ও। কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। আহত আরও ৫। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে যোগীরাজ্যের একটি বিয়েবাড়িতে।
উত্তরপ্রদেশের ইতমাদপুরের এক বিয়েবাড়িতে সম্প্রতি ঘটে এমন অবাক করা কাণ্ড। কী করে একটা সামান্য কারণে এমন কাণ্ড ঘটে যেতে পারে তা ভেবেই পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারা। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, বিয়েবাড়িতে পরিবেশনের সময় মিষ্টি কম পড়ে যায়। আর শেষপাতে মিষ্টি না পেয়েই কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের শুরু হয় বাদানুবাদ। কথা কাটাকাটি থেকে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়৷ বরযাত্রীদের একজন ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন কনেপক্ষের এক যুবকের উপরে। সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এরপরই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ২২ বছরের ওই যুবকের নাম সানি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে আগ্রায় সরোজিনী নাইডু মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর। এদিকে এই ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই চিকিৎসারত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। কীভাবে ঘটনাটি এমন চরমে পৌঁছাল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, কেবলমাত্র মিষ্টির ঘাটতি নিয়ে অভিযোগেই এত বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যদিও এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি পুলিশ।