বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছেলে বড় অভিযোগে অভিযুক্ত। পাশের বাড়ির মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বাড়িতে তল্লাশি করতে আসে পুলিশ। পুলিশি তল্লাশির পর থেকেই আতঙ্কিত ছিলেন অভিযুক্ত ছেলের মা এবং দুই বোন। তাঁদের খালি মনে হচ্ছিল, পুলিশ হয়তো তাঁদের গ্রেফতার করবে। আর সেই অপমান মানতে পারেননি তাঁরা, সেইজন্যই আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের তিনজন। অভিযুক্তের মা এবং দুই বোন, তিনজনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের ৩ তারিখ। মেহক সিং নামে এক ব্যক্তির ছেলের বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়। জানা গিয়েছে, দলিত মেয়েটি এক অনগ্রসর শ্রেণির এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করার পরই মেহকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে পরিবারের অন্য একজনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মেহকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, থানায় মারা হয় ওই ব্যক্তিকে। যদিও পুলিশ এই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার পর, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেহকের স্ত্রী ও কন্যারা। মেহক জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক নরেশ পাল হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে এই ভয়েই মা ও দুই মেয়ে বিষ খান। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে স্বাতীর মৃত্যু হয় বুধবার রাতেই। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান মেহকের স্ত্রী এবং ছোট মেয়ে প্রীতি।
মা ও দুই মেয়ের মৃত্যুর খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে গ্রামে যান জেলাশাসক রাজকমল যাদব এবং এসপি নীরজ কুমার। এরপর এই জনের উপস্থিতিতেই মা ও দুই মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে পুলিশ আধিকারিক নরেশ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আপাতত গ্রামে অশান্তি এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।