বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের একবার বিজেপিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন যে, আরএসএস ও বিজেপিকে দেশ শাসন করতে দেবেন না। তিনি বলেন, ‘মুষ্টিমেয়’ কিছু মানুষের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার ব্যাপারেই বিশ্বাস করে গেরুয়া শিবির।
কেরলের আলাপ্পুঝা জেলায় ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ১২ তম দিনে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি এমন দেশ তৈরি করতে চায় যেখানে হাতে গোনা মানুষের হাতে গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বিজেপির এই চিন্তাধারার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ দারিদ্রের মুখোমুখি হয়েছেন, যুবকরা কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখতে পারছে না। আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পারছি আজকের ভারত আগ্রাসী ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিজেপি এই সন্ত্রাস ও ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি করেছে। বিজেপির এই নীতির কারণে ৪-৫ জন মানুষ কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে।’
সম্প্রতি ফোবর্স ম্যাগাজিনের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। সোমবারের জনসভা থেকেও তাঁকেও আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি একজন ভারতীয় শিল্পপতি। এটা কীভাবে সম্ভব যেখানে দেশের বেকারত্বের হার গোটা বিশ্বে সর্বাধিক? আমাদের দেশে ধনীতম ব্যক্তি রয়েছেন, তাসত্ত্বেও কেন দেশের মানুষকে বিশ্বের সর্বাধিক মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে? এটা কী মেনে নেওয়া সম্ভব? এই দেশে সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারেন না, তাদের সন্তানদের যথাযথ শিক্ষা দিতে পারেন না, বাবা-মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন না, এমনকী যুব সমাজ ব্যবসা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে পারে না, সেখানে মুষ্টিমেয় কয়েকজন একচেটিয়াভাবে নিজেদের বাণিজ্য সাম্রাজ্য তৈরি করছে।’
বিজেপির পাশাপাশি আরএসএসকেও নিশানা করেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেছেন যে, দেশ এই মুহূর্তে প্রবল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেছেন, কোনওভাবেই আরএসএস এবং বিজেপিকে দেশ শাসন করতে দেবেন না। তাঁর কথায়, ‘আপনারা মনে করে দেশে বিভেদের পরিবেশ বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি রুখতে সাহায্য করবে? আপনাদের মনে হয় এক ক্ষুব্ধ সমাজ হাসপাতাল ও রাস্তাঘাট তৈরি করতে সক্ষম হবে? দেশ যদি নিজের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং তবে কোনওভাবে উন্নয়ন সম্ভব নয় এবং সাধারণ মানুষকে এই ঘৃণা, রাগ ও সন্ত্রাসের মূল্য চোকাতে হবে। আমরা আরএসএস ও বিজেপিকে দেশ শাসন করতে দেব না। সেই কারণেই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, রাহুলের নেতৃত্বে শুরু হওয়া কংগ্রেসের এই যাত্রা কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে এবং কাশ্মীরে গিয়ে শেষ হবে। ১৫০ দিনের এই মহামিছিল ১২টি রাজ্যের মোট ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে।