গ্রাম ৩৫টি, আর সেই ৩৫টি গ্রামের জন্য সরকারি হাসপাতাল কিন্তু একটাই। এদিকে হাসপাতাল থাকলেও সেখানে নেই একজনও চিকিৎসক। স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যাও হাতে গোনা। ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হয় স্থানীয় মানুষদের। তাতে খসে প্রচুর টাকাও। আর যারা টাকা খরচ করতে পারেন না, তাদের পরিণতিতে রয়েছে মৃত্যু। বিনা চিকিৎসায় স্রেফ মারা যান তারা
দীর্ঘদিন ধরে ঠিক এমনটাই চলে আসছে হরিয়ানার গ্রামে। তবে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন স্থানীয় মানুষরা। ১১ দিন ধরে ২৯০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রতিবাদ জানাতে তারা হাজির হলেন কার্নালে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের বাসভবনের কাছে পৌঁছলে পুলিশ আটকায় সির্সা জেলার চৌতালা গ্রাম থেকে আসা প্রতিবাদী জনতাকে। এরপর সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ জন বিধায়ক। এমনকী চৌতালা গ্রামেই বাড়ি উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালার। অথচ গ্রামীণ হাসপাতালটি বিকলঙ্গ হয়ে পড়ে আছে। সেখানে একজনও চিকিৎসক নেই। অভিযোগ, মাঝে পরপর তিনটি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই কারণেই।
এই বিষয়ে সমাজকর্মী রাকেশ ফাগোডিয়া বলেন, “১১ জন চিকিৎসক থাকার কথা হাসপাতালে। একজনও নেই। গত কয়েক মাসে স্বাস্থ্যকর্মীর পদও খালি। অথচ নিয়োগ হচ্ছে না। যদিও আশপাশের ৩৫টি গ্রামের মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল।”
রাকেশ জানান, সমস্যার কথা বারবার তোলা হলেও বিহিত হয়নি। “শেষ পর্যন্ত গত ২১ ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করি আমরা।” শহুরে মানুষকে চমকে দিয়ে ১১ দিন একটানা হেঁটে ২৮০ কিলোমিটার পথ ডিঙোন। পৌঁছান কার্নালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে।
চৌতালার গ্রামের ধরনায় ইতিমধ্যে হাজির হয়েছেন আম আদমির পার্টির একাধিক নেতা। এই বিষয়ে হরিয়ানা আপের প্রধান বলেন, চৌতালার বাসিন্দা একাধিক বিজেপি নেতা, অথচ কেউ ব্যবস্থা নেয়নি এত বড় ইস্যুতে। এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার। দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও মত তাঁর।