বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বেআইনি ওষুধ কাণ্ডে এবার বড় স্বস্তি পেলেন যোগগুরু রামদেব। দিব্যা ফার্মেসিকে বিতর্কিত ওষুধ উৎপাদনের জন্য অনুমতি দিল উত্তরাখণ্ড সরকার। উত্তরাখণ্ড আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি ওই ওষুধগুলি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, রামদেবের পতঞ্জলির ওষুধ তৈরি হত এই দিব্যা ফার্মেসিতেই। যে ওষুধগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সেই ওষুধ দিয়ে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, গয়টার, গ্লুকোমা, উচ্চ কোলেস্টরেল নিরাময় হয় বলে দাবি করা হয়। ওষুধগুলির নাম বিপিঘৃত, মধুঘৃত, থাইরোঘৃত, লিপিডোম, আইঘৃত গোল্ড ট্যাবলেট। উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি নিষেধাজ্ঞায় জানিয়েছিল যে, এই ওষুধগুলির ক্ষেত্রে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে তা যথাযথ নয়। তবে, এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি জানিয়েছে, পতঞ্জলির ওই পাঁচটি ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়ো করে নেওয়া হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহের বুধবারই উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি দিব্যা ফার্মেসিকে উল্লিখিত ওষুধ তৈরি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিস ধরায়। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয় যে, এই ওষুধগুলির প্রক্রিয়াকরণ এবং এর উপযোগিতা আসলে পরীক্ষিত নয়। আর সেই কারণেই ওই ওষুধগুলি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে, সেই নির্দেশ দেওয়ার ২ দিনের মধ্যেই শনিবার তা প্রত্যাহার করেও নেওয়া হল। পাশাপাশি এবার কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সময়সীমা এক সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১৫দিন করেছে। এবার উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি নতুন একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দিব্যা ফার্মেসি আগের মতোই এই ৫ টি ওষুধ তৈরি করতে পারবে। এর আগে যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল সেই সময় পতঞ্জলি পাল্টা একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল যে, ‘তাদের সংস্থার বিরুদ্ধে ড্রাগ মাফিয়ারা চক্রান্ত করেছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের কোনও কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকও এর সঙ্গে যুক্ত।’
এদিকে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ওষুধের অপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। তবে, এক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ডের সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকের বলছেন যে, কেন সবটা না জেনে নিষেধাজ্ঞা দিতে এতো তাড়াহুড়ো করা হল? কেনই বা আবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হল?