বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও খবরের শিরোনামে যোগীরাজ্য। মাস কয়েক আগে গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে যাওয়া এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সেই যোগীরাজ্যেই ফের একবার রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায়। এবার মহিলা আইনজীবীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত আরও এক পুলিশ আধিকারিক। শুধু ধর্ষণই নয়, অভিযোগ ওই মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে, তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম অজয় শর্মা। তিনি বর্তমানে গাজিয়াবাদের একটি থানায় সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যখন মিরাটের কানকারখেরা এলাকার লিসারি গেট থানায় কর্মরত ছিলেন, সেই সময় ওই মহিলা আইনজীবীকে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, মিরাটের আদালতে একটি শুনানির সময় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক অজয়ের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। অভিযোগে ওই মহিলা আইনজীবী জানিয়েছেন, ঠাণ্ডা পানীয়ে মাদক মিশিয়ে ওই পুলিশ আধিকারিক ও তাঁর বন্ধুরা মহিলা আইনজীবীকে গণধর্ষণ করে। এমনকি ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও করেন ওই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী। এরপর নির্যাতিতা মহিলা আইনজীবী অন্তঃসত্ত্বা হলে, তাঁকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করেন অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর অজয় শর্মা।
এখানেই শেষ হয়, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের ভয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকাও শুরু করেন ওই মহিলা আইনজীবী। করণ, বাড়িতে হামলা চালিয়ে জোর করে টাকা ও গয়না নিয়ে যায় অজয় শর্মা।
এরপর ওই মহিলা আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লবপুরম থানায় এফআইআর দায়ের হয়। উক্ত থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক অবিনাশ অসওয়াল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মহিলা আইনজীবীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ পাশাপাশি অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে, অভিযুক্ত অজয় শর্মার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক। এমনকি তাঁকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের কথাও বলেছেন তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, দ্রুত অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক অজয় শর্মাকে গ্রেফতার করা হবে।