বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এমনটাও হয়? পুলিশ কর্মীর পিস্তল, টিয়ারগানের মতো অস্ত্র চালানোর কোনও প্রশিক্ষণই নেই! এমনকি সামান্য বন্দুকে গুলিটাও ভরতে জানেন না! আর স্বভাবতই এই ঘটনায় নাক কাটা গেল যোগীরাজ্যের পুলিশের। এদিকে, এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো ‘গলদঘর্ম’ অবস্থা ডিআইজি আরকে ভরদ্বাজের।
থানা পরিদর্শনে এসে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে, এমনটা বোধহয় তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। তাই তো এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেই চক্ষুচড়কগাছ পুলিশের বড় কর্তার। সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ভাবা যায়, একজন পুলিশ কর্মী হয়ে সামান্য বন্দুকে গুলি ভরতেই জানেন না! সেক্ষেত্রে অস্ত্র চালাতে যে তিনি হিমসিম খাবেন, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশই থাকে না।
পিস্তল, টিয়ারগান অস্ত্র চালানোর কোনও প্রশিক্ষণই নেই থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের। আর এই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে যোগীরাজ্যে। সবাই সমালোচনায় সরব হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয়, ফাঁড়ির ইনচার্জ টিয়ারগান চালাতে জানেন না। বারবার চেষ্টার পরেও তিনি ডিআইজির সামনে দাঁড়িয়ে পিস্তল খুলতে পারেননি। গুলি ভরতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। থানার সাব- ইন্সপেক্টর নিজেও পিস্তলে গুলিটাও ভরতে হয় কীভাবে, তা জানেন না। রাইফেলে গুলি কোথা থেকে ঢোকানো হয়, সে সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অন্ধ, যেন তিনি কখনও দেখেনইনি কীভাবে গুলি ভরতে হয়। রাইফেলের নল দিয়েই গুলি ভরার চেষ্টা করেন তাও আবার খোদ ডিআইজির সামনে। আর এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। আর ভাইরাল হতেই একদিকে যেমন হাসির রোল উঠেছে, তেমনই সমালোচনাও হচ্ছে।
ডিআইজি পরিদর্শন চলাকালীন তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বন্দুকে গুলি ভরতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে হিমশিম খেলেন থানার সাব ইনস্পেক্টর। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের কোতয়ালি খলিলাবাদ থানা। এমনই অবস্থা হয় যে, ওই দৃশ্য থেকে সকলের সামনে নিজের হাসি চেপে রাখতে পারেননি খোদ ডিআইজি। এরপরই তিনি কঠোর প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেন তিনি।
অন্যদিকে, এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে প্রবল অস্বস্তিতে খোদ ডিআইজি। এই ঘটনার পর ডিআইজি বলেন, যা কিছু ত্রুটি দেখতে পাওয়া গেছে, সেসব ত্রুটি যথাযথ প্রশিক্ষণ বা মহড়ার অভাবের ফল। ভবিষ্যতে সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তা পূরণ করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশ কর্মীদের কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনার চরম নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছে সমাজবাদী পার্টি। তারা টুইটারে লিখেছে, বিজেপি সরকারে গরিব ও নিরপরাধীদের হয়রানিকারী করতে পটু এদিকে পুলিশের এসআই বন্দুক ব্যবহার করতে জানে না, লজ্জাজনক।