বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হল যোগী রাজ্যের এই লখিমপুর। স্ত্রীকে বিদ্যুতের শক দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল লখিমপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু খুন করাই নয়, খুনের পর স্ত্রীর দেহ ঘরের মেঝেতেই খুঁড়ে মৃতদেহ পুঁতে দেয় অভিযুক্ত স্বামী।
এখানেই শেষ নয়, প্রতিবেশীদের সন্দেহ থেকে বাঁচাতে ২ রাত ওই ঘরে কাটায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। কিন্তু এতো কিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। নিজের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। পাশাপাশি ঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে অভিযুক্তের স্ত্রীর দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ বাসি। কয়েক বছর আগেই আকসা ফতিমাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিককালে একাধিক কারণে দম্পতির সম্পর্কের অবনতি হয়। এদিকে, পুলিশি জেরার মুখে পড়ে মহম্মদ বাসি জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হত। গত বুধবার ঘটনার দিনও একই ঘটনা ঘটে। এরপরই খুনের পরিকল্পনা করে মহম্মদ বাসি। রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়তেই তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে সে। প্রথমে খুব মারধর করে। এরপর সবশেষে বিদ্যুতের শক দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে।
স্ত্রীকে খুন করার পরই ঘরেই মেঝে খুঁড়ে দেহ পুঁতে ফেলে অভিযুক্ত বাসি। আত্মীয়- প্রতিবেশীদের যাতে কোনও সন্দেহ না নয়, তার জন্য ওই ঘরেই ২ রাত কাটায় সে। খুনের সময় বাসির মা কানপুরে ছিলেন। তিনি ফোনে বৌমার খোঁজ করলে, একাধিকবার ছেলে জানায় যে, ফতিমা অন্য কোথাও গিয়েছে। এরপরই ছেলের উপরে সন্দেহ হয় বৃদ্ধার। বাড়ি ফিরেই তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
বাসির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। শুরুতে ফতিমার দেহের খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। কিন্তু মহম্মদ বাসিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই আসল বিষয়টা সামনে আসে। এরপরই মাটি খুঁড়ে ফতিমার দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বাসির বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোলা গোকরনাথ থানার পুলিশ আধিকারিক ডি পি শুক্লা জানিয়েছেন, মৃত ফতিমার শরীরে বড় কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তাঁকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। ধৃত বাসিকে জেরা করা বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।