বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার দায়িত্ব পুলিশের। আবার সমাজ সংস্কারের মতো গুরুদায়িত্বও রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ পাওয়া যায় যে, পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এবার সেই সমস্যার সমাধানে ময়দানে নামলেন উত্তরপ্রদেশের এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক। উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়ার পুলিশ সুপার চারু নিগমের কাণ্ড-কারখানা যেকোনো হিন্দি সিনেমার চিত্রনাট্যকেও সহজেই হার মানাতে সক্ষম।
আউরাইয়া পুলিশের টুইটার মারফত গোটা ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর ১১২ তে ফোন করে ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই আইপিএস অফিসার। ফোন করে তিনি বলেন, সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা ডাকাতির জন্য হানা দিয়েছে। ওই ভিডিওতে মুখ ঢেকে ওই আইপিএস অফিসারকে নিজের পরিচয় গোপন করতে দেখা গিয়েছে। টুইটে জানানো হয়েছে যে, জেলা পুলিশের নজরদারি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্যই পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ভুয়ো ডাকাতির কথা জানিয়েছিলেন ওই আইপিএস অফিসার। তবে, তাঁর এই এতো কষ্ট সার্থক হয়েছে। জেলা পুলিশের তৎপরতায় সন্তুষ্ট হয়েছেন আইপিএস অফিসার চারু নিগম।
ওই ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, পুলিশের, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে কন্ট্রোল রুমে থাকা পুলিশ কর্মীকে ওই আইপিএস অফিসার বলেন, ‘হ্যালো, আমি সরিতা চৌহান বলছি। দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী আমাকে লুট করার চেষ্টা করছে।’ ফোন পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ওই মহিলার বর্ণিত স্থানে পৌঁছায় পুলিশের একটি দল। তখনও মুখ ঢেকে রেখেছিলেন ওই আইপিএস অফিসার। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজেদের কাজ শুরু করে দেয়। মাস্ক, ওড়না এবং রোদচশমা পড়ে পুলিশকর্মীদের থেকে আইপিএস অফিসার তাঁর পরিচয় গোপন করেছিল।
এরপর, এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেও পুলিশ কর্মীরা দুষ্কৃতীদের হদিশ না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন ওই আইপিএস অফিসার। এমনকী জেলার পুলিশের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। এরপরই গোটা ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বর আউরাইয়া পুলিশের পক্ষ থেকে ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয়েছে। আইপিএস অফিসারের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছেন নেটিজ়েনরা। তাদের মতে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের মাঝে মধ্যেই এই ধরনের সারপ্রাইজ ভিজিট করা প্রয়োজন। নেটিজেনরা সকলেই পুলিশ সুপারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। এবার নেটিজেনদের একাংশের মতে, গোটা ঘটনাটি সাজানো।