বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন বছর শুরু হয়েছে সেই করোনার আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই। দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। আবারও একবার তৃতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। এদিকে, করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপট রুখতে কেন্দ্রের পুরনো টেস্টিং এবং ট্রাকিং নীতিতেই আস্থা রাখছেন মোদী। পাশাপাশি জোর দিতে বলছেন টিকাকরণেও। এই মুহূর্তে দেশের একাধিক শহরে কড়া বিধিনিষেধ জারি এবং সতর্কতার মধ্যেই চলছে করোনাকে বাগে আনার চেষ্টা। এদিকে, চলতি মাসের শেষেই করোনার সংক্রমণের শিখর ছুঁতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এই উৎকণ্ঠার মধ্যেই মঙ্গলবার সামান্য স্বস্তি দিয়েছিল করোনার নিম্নমুখী গ্রাফ। তবে, সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গতকাল ফের বাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও, কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা এবং অ্যাকটিভ কেস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের সবচেয়ে ভয়ংকর দিনগুলি পেরিয়ে এসেছে ভারত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৮৪ জন। যা আগের দিনের সামান্য বেশি। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯১৪ জন। ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটও। বর্তমানে দেশে করোনা পটিজিভিটি রেট অবশ্য বেড়ে হয়েছে ১৯.৫৯ শতাংশ। সেটাই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র খানিকটা স্বস্তির খবর শোনালেও, নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলি। কেরল, কর্ণাটকে আক্রান্তের সংখ্যাটা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৩ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে খানিকটা কম। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬১৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৭০০ জন।
তবে, এই করোনা উদ্বেগের মাঝেই যা সবথেকে বেশি স্বস্তি দিচ্ছে তা হল নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। এই নিয়ে পরপর দুদিন কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ২২ লক্ষ ২ হাজার ৪৭২ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ২০ হাজার কম। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩২৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৩৫৭ জন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে মুম্বইতে সমস্ত স্কুল খুলে গিয়েছে। কড়া কোভিডবিধি মেনেই চলছে ক্লাস। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বাংলাতেও। কলকাতায় কমেছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। স্কুল খোলার পরিকল্পনা চলছে। ফেব্রুয়ারিতেই তা খুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে ৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। পাশাপাশি ১০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ষাটোর্ধ্ব এবং ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের প্রিকশন ডোজও। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬৩ কোটি ৮৪ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যা বেশ সন্তোষজনক বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্র। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা অবশ্য কমেছে অনেকটাই। ১৪ লক্ষ ৬২ হাজার ২৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। কড়া কোভিডবিধি এবং টিকা-এই দুই অস্ত্রের উপর ভর করেই করোনাযুদ্ধে এগোচ্ছে দেশ।
- TAGS
- দেশে করোনা
- করোনা