নিজের ১৬ দিনের যমজ সন্তানদের গণশৌচালয়ের সিঁড়িতে রেখেছিলেন তারপরেই তারা হারিয়ে যায়। এমনটাই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায় মা। তবে অবশেষে যে খবর প্রকাশে এলো তাদের রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে।
ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, স্বপ্না ধকর নামে এক মহিলার একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। এরপরে কিছুদিন আগেই তার যমজ সন্তান হয়। এদিকে সংসারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে নতুন করে আরো দুটো পেট চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজের 16 দিনের দুই যমজ সন্তানকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন ওই অভিযুক্ত মহিলা।
কিছুদিন আগে থানায় গিয়ে মহিলা দুই সন্তানের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। থানায় জানান, গণশৌচাগারে সিঁড়িতে শিশুদের রেখে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই ফিরে এসে দেখেন শিশুরা নেই। কিন্তু মহিলার অভিযোগ যথাযথ লাগেনি তদন্ত আধিকারিকদের। এরপরেই ক্রমেই জেরা করা শুরু হয় ওই মহিলাকে।
এরপর জেরার মুখে ক্রমেই ভেঙে পড়তে থাকেন স্বপ্না। স্বীকার করে নেন নিজের অপরাধের কথা। জানান, অভাবের সংসারে তাদের নিজেদের ঠিকমতো খাবার জোটে না। এর মধ্যে নতুন করে আরো দুটো পেট চালানোর সামর্থ্য তাদের নেই। তার মধ্যে তার স্বামী বিগত ৬ মাস ধরে বেকার হয়ে রয়েছেন। একই সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সবকিছু মিলিয়েই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই শেষ পর্যন্ত নিজের ১৬দিনের যমজ সন্তানদের গলা টিপে খুন করে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্বপ্না ধকর।