বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের একই ঘটনা! সম্প্রতি মোবাইল গেম খেলা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদে ছোট ভাইকে খুন করেছিল নাবালক দাদা। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে, এবার নাবালক ছেলের হাতে খুন হলেন মা। ঘটনার নেপথ্যে সেই মোবাইল গেম। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ।
মোবাইল গেমের নেশা যে কতো ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা বারবার প্রমাণ হচ্ছে। এবার তেমনই ভয়ঙ্কর ঘটনাই ঘটেছে। মোবাইল গেম খেলতে বাধা দেওয়ায় মাকে গুলি করে খুন করে নাবালক ছেলে। শুধু খুন করাই নয়, মায়ের দেহ লুকিয়ে রেখে, দিব্যি দু’দিন কাটিয়েও দেয় মৃতদেহের সঙ্গে। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে বছর ১৬-র নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ শহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে মোবাইল গেম খেলা নিয়ে মায়ের সঙ্গে তীব্র তর্কাতর্কিতে জড়ায় নাবালক ছেলে। পরিস্থিতি এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, মাকে প্রাণে মেরে ফেলার চিন্তা মাথায় আসে ছেলের। সেই চিন্তাকে ফলপ্রসূ করতে বাবার লাইসেন্স যুক্ত রিভলভার দিয়ে মাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এদিকে, ওই মহিলা গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাণ হারান।
মা মারা গেছে বুঝতে পেরেই তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজে নেমে পরে নাবালক ছেলে। একেবারে পেশাদার খুনিদের মতোই দেহ বাড়ির এক প্রান্তে লুকিয়ে ফেলে সে। এরপর ৯ বছরের বোনের সঙ্গে দিব্যি দু’রাত কাটিয়েও দেয় সে। এখানেই শেষ নয়, মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে, এবং তা থেকে প্রতিবেশীরা জানতে পারবে, এই আশঙ্কায় রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করে সে।
এর ফলে বিষয়টি দু’দিন কেউ টেরই পায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বোন কিন্তু দাদার কুকীর্তির কথা জানতে পেরে গিয়েছিল। কিন্তু হুমকি দিয়ে ছোট বোনের মুখ বন্ধ করে দেয় নাবালক দাদা। নাবালকের বাবা সেনায় কর্মরত। বাংলায় তার পোস্টিং। বাবাকে মায়ের মৃত্যুর খবর দেয় সে। তবে, তার জন্য নয়া গল্প ফাঁদে। সে জানায় যে, এক ইলেক্ট্রিশিয়ান তার মাকে গুলি করেছে। পরে পুলিশকেও সে একই কথা বলে। কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আসল ঘটনার হদিশ পায়। এরপরই গ্রেফতার কড়া হয় ওই কিশোরকে। পুলিশি জেরায় অবশেষে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ওই নাবালক। এমনটাই জানিয়েছেন লখনউ থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এসএম কাসিম আবিদি। কিশোরের বয়ানের সঙ্গে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।