ধর্ষণের মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এতদিন ধর্ষণের প্রমাণ পেতে টু ফিঙ্গার টেস্ট করা হতো। এবার থেকে আর সেই পরীক্ষা করা যাবে না। সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি জানানো হয়েছে এই ধরনের টেস্ট করলে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায় আনা হবে।
সোমবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে আর টু ফিঙ্গার টেস্ট করা যাবে না। এই টেস্ট সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক এবং পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয়। বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, "ধর্ষণ ও যৌন-নিগ্রহের মামলায় আদালত বহুবার টু ফিঙ্গার টেস্টের বিরুদ্ধে অভিমত দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।"
বিচারপতি এদিন আরো জানান, "এই পরীক্ষা নির্যাতিতাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। জোর করে শরীরের ভেতর আঙ্গুল প্রবেশ করানো হয় পরীক্ষার সময়। তাই ধর্ষণের মামলায় কোন ভাবেই টু ফিঙ্গার টেস্ট করা যাবে না।" এরপরে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, আদালতের রায়ের পরেও যারা এই ধরনের পরীক্ষা করবে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে মামলা করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধর্ষিতার অভিযোগের প্রমাণ করতে নির্যাতিতার যোনির ভেতর দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। ২০১৩ সালেই টু ফিঙ্গার টেস্টকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে এই ধরনের পরীক্ষা চলে আসছিল। এই ধরনের পরীক্ষা আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজেরই পরিচয় বলে এদিন সরব হয়েছেন বিচারপতি। তাই এই ধরনের টেস্ট, প্রতিটি রাজ্যের মেডিকেল কলেজের পাঠ্যসূচি থেকেও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে এদের নির্দেশ দেন তিনি।