বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল আবেদনকারী পক্ষকে। সোমবার বিচারপতি এস কে কউল এবং বিচারপতি অভয় এস ওকার বেঞ্চ এমন আর্জি আবেদন জানানো কারণে আবেদনকারী পক্ষকে ভর্ৎসনা করেছেন।
গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ‘গোবংশ সেবা সদন’-সহ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি, গো-হত্যায় মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বিষয়ে কেন্দ্রের মত চেয়ে নোটিস পাঠানোর আবেদন খারিজ করে দেয়। এখানেই শেষ নয়, দুই বিচারপতির বেঞ্চ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বলে, ‘এটা কি আদালতের কাজ? আপনি কীভাবে এমন আবেদন জানাতে পারেন? এতে কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে?’
এমন আবেদন জানানোর জন্য আবেদনকারী পক্ষকে জরিমানা করা উচিত বলেও জানায় শীর্ষ আদালত। আদালত জানায় যে, আবেদন প্রত্যাহার করা না হলে, জরিমানা করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একটি মামলার শুনানিতে রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা একটি মামলার শুনানিতে গরুকে ‘মাতা’ বর্ণনা করে বলেছিলেন, ‘‘গোহত্যার চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছুই হতে পারে না।’’ সংবিধানের ৪৮ ও ৫১এ (জি) ধারা অনুযায়ী গরুকে জাতীয় পশুর আইনি মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এরপর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গো-হত্যা সংক্রান্ত একটি মামলায় অভিযুক্তের জামিনের শুনানিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখরকুমার যাদব বলেছিলেন, ‘গরু ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই গরুকেই দেশের জাতীয় পশু করা উচিত।’ অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘গরুর ভাল হলে তবেই দেশের ভাল হবে।’ শুধু তাই নয়, গরুর ‘মৌলিক অধিকার’ থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি।