বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাবার মৃত্যুর পরেই মা চলে গিয়েছিলেন মামার বাড়িতে। সেখানেই একটি স্কুলে চাকরি নেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। মামার বাড়ি ছেড়ে ওই গ্রামেই একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন। কিন্তু ছেলের মনে সন্দেহ বাসা বাধে। ছেলের সন্দেহ ছিল, বিধবা মায়ের অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
মায়ের দীর্ঘ সময় ফোনে কাটাতে দেখে সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হতে শুরু করে। সেই সন্দেহই মনে এমন গভীরে গেঁথে গিয়েছিল যে, ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনল। সন্দেহের বশেই মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মাকে কুপিয়ে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ছেলে গুরুগ্রামে থাকেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত মহিলার নাম সোনা দেবী, বয়স ৪০ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি হরিয়ানার হিসারের গাহরি গ্রামে বাপের বাড়ি চলে যান। সেখানেই একটি স্কুলে ওয়ার্ডেনের চাকরি নেন। আর সোনা দেবীর ছেলে প্রবেশ থাকতেন সোনেপতে। মাঝেমধ্যেই হিসারে মায়ের কাছে যেত।
এদিকে, মাত্র ৬ মাস আগেই স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই মহিলা। এরপর বাপের বাড়ির গ্রামেই একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। একে স্বামী নেই, ছেলেও দূরে। এর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনেই কাটাতেন সময়। এর থেকেই ছেলের মনে সন্দেহ ঘর করে। অভিযুক্ত ছেলে প্রবেশের মনে সন্দেহ হয় যে, তার মা অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে এই সন্দেহ।
এরপর ৬ আগস্ট মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রবেশ। সেখানে গিয়েই মাকে কুপিয়ে খুন করেন প্রবেশ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন। এরপর দেহ খাটের তলায় লুকিয়ে রাখেন। এদিকে, সোনা দেবীর খবর না পেয়ে, দেহে পচন ধরে ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতেই সোনা দেবীর ভাই পুলিশের খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।
এরপরই তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় মাকে খুন করার কথা স্বীকারও করেছেন প্রবেশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।