বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও একবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেকে আক্রমণ করলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। একনাথ বলেছেন যে, তিনি এবং তাঁর সমর্থকরা যদি বিশ্বাসঘাতকই হতেন, তাহলে তাঁরা রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে এতো বিপুল সমর্থন পেতেন না।
পুনে জেলার সাসওয়াদে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, একনাথ বলেন যে, ‘বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনাকে বাঁচাতে’ তাঁর এবং অন্যান্য শিবসেনা বিধায়কদের অবস্থান যে সঠিক, তা মানুষের সমর্থন পেয়েই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, উদ্ধব ঠাকরে এবং কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সরকার চলতি মাসের জুন মাসে পড়ে যায়। একনাথ এবং তাঁর সঙ্গী বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে সরকার পড়ে যায়। শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জোটবদ্ধ সরকার গঠন হয়। এই ঘটনার পর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে একনাথ এবং অন্য বিধায়কদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেন। একনাথ শিন্ডে বলেন, ক্ষমতায় থাকার পরেও শিবসেনা রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনে চতুর্থ স্থানে ছিল। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, সেই সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে।
ওই সমাবেশ থেকে একনাথ জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি এবং কংগ্রেসকেও একহাত নেন। তিনি বলেন যে, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরাজয়ের পরে ক্ষমতার বাইরে থাকার কথা এনসিপি এবং কংগ্রেসের। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র শিবসেনার সঙ্গে জোট থাকার কারণেই তাঁরা ক্ষমতায় থাকতে পেড়েছে। এই সুযোগ তাঁদের কাছে ‘সঞ্জীবনী বুটি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, ‘যদি শিবসেনা-বিজেপি সরকার গঠিত হত (২০১৯ সালে), এনসিপি এবং কংগ্রেস টিকে থাকত না।’ এদিকে, একনাথ নিজে ৩০ জুন বিজেপির সমর্থন পেয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র রাজ্যের মানুষই নয়, সারা দেশের মানুষ এই উন্নয়ন লক্ষ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং এমনকি গোটা বিশ্ব দেখেছে, এই ৫০ জন লোক কে এবং কে একনাথ শিন্ডে।’ এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সমাবেশে দাঁড়িয়ে তিনি মানুষের উদ্দেশে প্রশ্ন যে, তিনি এবং অন্যান্য বিধায়করা বিদ্রোহী কিনা।
এছাড়াও একনাথ সভায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন যে, তাঁরা বিদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক কিনা? তাঁর দাবি, তাঁরা যদি বিদ্রোহী অথবা বিশ্বাসঘাতক হতেন, তাহলে তাঁরা রাজ্যের সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতেন না। তাঁর আরও দাবি, মানুষ তাঁকে সমর্থন না করলে, এত মানুষ উক্ত সমাবেশে আসতেন না। সমাবেশের লোকসংখ্যা দেখে তিনি দাবি করেছেন, বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনাকে বাঁচানোর জন্য মানুষ তাঁদের অবস্থানকে গ্রহণ করেছেন।