রেলস্টেশনে আচমকাই হার্ট অ্যাটাকের শিকার প্রবীণ ব্যক্তি। হয়তো মারাই যেতে পারতেন, কিন্তু স্ত্রীর উপস্থিত বুদ্ধি এবং আরপিএফ কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণ রক্ষা হল তাঁর। মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস দিয়ে (mouth to mouth cpr) ওই প্রবীণ ব্যক্তির জীবন বাঁচালেন স্টেশন উপস্থিত আরপিএফ কর্মীরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটে মথুরা জংশন স্টেশনে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মথুরা জংশনে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন ওই ব্যক্তি। ভাগ্যিস সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। তিনি সেই মুহূর্তে সাহস না হারিয়ে স্বামীকে সিপিআর দেন । তাঁর মুখ দিয়ে স্বামীকে নিঃশ্বাস দিতে থাকেন তিনি৷ তা দেখে ছুটে আসেন সেখানে উপস্থিত আরপিএফ কর্মীরাও। তাঁরা এসে ওই মহিলাকে সাহায্য করেন।
এরপর স্ত্রী এবং আরপিএফ জওয়ানরা মিলে ওই ব্যক্তির হাত-পা মালিশ করতে থাকেন। সঙ্গে সিপিআর দেওয়াও চালু থাকে। তাঁদের এই প্রচেষ্টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও প্রাণে বাঁচেন ওই প্রবীণ।
আরপিএফ সূত্রে খবর, হার্ট অ্যাটাকের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ব্যক্তির নাম কেশবন। বয়স প্রায় ৭০ বছর। নিবার সকালে মথুরা জংশনে নিজামুদ্দিন থেকে কোঝিকোড় কোয়েম্বাটুর এক্সপ্রেস ট্রেনে তাঁর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। অবস্থা উত্তরোত্তর খারাপ হতে থাকে। সেই মুহূর্তে তাঁর স্ত্রী দয়া প্রায় ১৫ মিনিট ধরে স্বামীকে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস দিতে থাকেন।
এদিকে এই তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত আরপিএফ কর্মীরা ছুটে আসেন। তাঁরা এসেও কেশবনকে সিপিআর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাঁদের সকলের প্রচেষ্টায় কেশবনের প্রাণ রক্ষা পায়। এরপর তাঁর জ্ঞান ফিরলেই সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রবীণকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন আরপিএফ কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন কেশবন নামের ওই ব্যক্তি। অন্যদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আরপিএফ কর্মীদের মানবতা এবং সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে।