বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। দেশের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি আজ সমুদ্রশহর পুরীতে শুরু ঐতিহ্য প্রাচীন জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। আজ পুরীতে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়েছে। পুরীতে উপচে পড়েছে ভিড়। এই উৎসবে সামিল হতে দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও অসংখ্য ভক্তের আগমন ঘটেছে।
উল্লেখ্য, গত দু’বছর করোনা অতিমারির জেরে একাধিক বিধিনিষেধের মধ্যে থেকে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছিল পুরীতে। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় বাইরের কারও পুরীতে প্রবেশের উপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে, এবার সেইসব বিধিনিষেধ সেভাবে নেই। তাই অধীর উৎসাহে মুখিয়ে রয়েছেন মানুষ এই উৎসবে সামিল হতে। এই উৎসব উপলক্ষে ওড়িশার পাশাপাশি দেশের একাধিক রাজ্য থেকে পুন্যার্থীদের ভিড় হয়েছে পুরীতে। এই মুহূর্তে প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথযাত্রা ঘিরে প্রবল উন্মাদনা সমুদ্র নগরীতে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই রথযাত্রা শুরুর আগের নানান রীতি, প্রথা পালন শুরু হয়ে গেছে পুরীর মন্দিরে। জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথ শ্রীমন্দিরের বাইরে রাখা হয়েছে। প্রতিবারের মতোই এবারও কড়া পুলিশি পাহারায় ব্যবস্থা করা হয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, পুরীর মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে গুণ্ডিচা মন্দির।
কথিত আছে এখানেই রয়েছে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি। পুরীর মন্দির থেকে রথ যাত্রা শুরু হয়ে এই গুণ্ডিচা মন্দিরে যাবে। একটানা ৭ দিন এই মন্দিরেই ভাই-বোন সুভদ্রা এবং বলভদ্রকে নিয়ে থাকবেন জগন্নাথ দেব। এরপর ফের ফিরে আসবেন পুরীর মন্দিরে।
জগন্নাথ দেবের রথের নাম নন্দীঘোষ। যে দড়িটি দিয়ে প্রভু জগন্নাথের রথ টানা হয় তার নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। অন্যদিকে, বলভদ্রের রথের নাম হল তালধ্বজ এবং এই রথের রশির নাম বাসুকী নাগ। আর সুভদ্রা দেবীর রথের নাম দেবদলন, আর সুভদ্রার রথের রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগ। তিনটি রথেই দেব-দেবীরা অধিষ্ঠান করেন বলেই ধারণা ভক্তদের। রথের দিন এই তিনটি রথের রশি ছোঁয়া সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে বলে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের মনে। সেই কারণেই রথযাত্রার পুণ্য তিথিতে প্রভু জগন্নাথ দেব, বলভদ্র ও সুভদ্রা দেবীর রথের রশি একবার ছোঁয়ার আশায় বহু মানুষের সমাগম হয় পুরীতে।