প্রায় ১৫০ ফুট গভীর গর্ত। আর সেই গর্তে পড়ে গিয়েছিল ছোট্ট এক শিশুকন্যা। গর্তের অন্ধকারে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছিল তার। চরম আশঙ্কায় পরিবারের ওঠে কান্নার রোল। তবে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় গর্ত থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকন্যাকে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে তার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে, রাজস্থানের দৌসার বান্দিকুই থানা এলাকার জাস্সা পাড়া গ্রামে। সেখানে প্রায় ১৫০ ফুট গভীর শুকনো এক গর্তে পড়ে যায় অঙ্কিতা নামের ওই শিশুকন্যা। তবে খবর পেয়েই দৌসার সিভিল ডিফেন্স এসডিআরএফ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সাত ঘণ্টার উদ্ধারকার্যের পরে অভিযান সফল হয়। নিরাপদে বেরিয়ে আসে শিশুটি। তাকে উদ্ধারের কাজটি তাই `অপারেশন অঙ্কিতা` নামে চিহ্নিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই `অপারেশন অঙ্কিতা` চালিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিশুটির কোনও ক্ষতি হয়নি। সে শেষ পর্যন্ত নিরাপদ ছিল। জেলা প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলের সাত ঘণ্টার কঠোর পরিশ্রমের পর দেড় বছরের অঙ্কিতাকে বোরওয়েল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধারপর্বের পুরো সময়টা জুড়ে গোটা রাজস্থান যেন মানসিক ভাবে সংযুক্ত হয়ে পড়ে। গোটা রাজ্যটি অঙ্কিতার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছে। সে যেন নিরাপদে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে এজন্যই প্রার্থনা চালিয়ে গিয়েছিল তারা।
অঙ্কিতার পরিবারের সূত্রে জানানো হয়েছে, বোরওয়েলটি জলশূন্য হয়ে পড়েছিল। এটি প্রায় ৪০০ ফুটের গর্ত ছিল। অঙ্কিতার দাদু এটাকে একটু একটু করে ভরাট করছিলেন। এটা অবশেষে ১৫০ ফুটে এসে থামে। আজও তিনি গর্ত বোজানোর কাজই করছিলেন। মাঝে একবার ক্লান্ত হয়ে জল খেতে ঢুকেছিলেন। এরই মধ্যে অঙ্কিতা গর্তে পড়ে যায়। এই বিপদ ঘটে যায়। মেয়েটির কান্না অবশ্য শোনা যাচ্ছিল। উদ্ধারকারী দল এসে প্রথমেই গর্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে শুরু করে।
অঙ্কিতাকে উদ্ধারের পরেই স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে। মেয়েকে গর্ত থেকে বের করে আনার সঙ্গে সঙ্গেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। খুশিতে চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে তাদের। দৌসার কালেক্টর কমর চৌধুরী বলেছেন, বান্দিকুই তহসিলদার এবং মান্দাওয়ার এসডিএমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।