বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কংগ্রেস সাংসদ-নেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী তামিলনাড়ু থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন। এবার সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুললেন প্রাক্তন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর মতে, তামিলনাড়ু নয়, গুজরাট অথবা বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্য থেকেই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করা উচিত ছিল।
এই মুহূর্তে পৃথক বিদর্ভ রাজ্যের প্রচারে মহারাষ্ট্রে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এদিন সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিকে বলেন, ‘আগামী বছর গুজরাটে নির্বাচন রয়েছে, তাই কংগ্রেস যদি ভারত জোড়ো যাত্রা গুজরাট থেকে শুরু করত, অথবা বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু করত, তাহলে ভালো হত।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে, শোনা গিয়েছিল যে, প্রশান্ত কিশোর ভোট-কুশলী হিসাবে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু পরে সে বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর জানান, তিনি নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সূত্রের খবর, পিকে তাঁর পছন্দমতো ক্ষমতা না পাওয়ার জন্যই নাকি কংগ্রেসের ভোট-কুশলী হওয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন।
সোমবার মহারাষ্ট্র ভেঙে পৃথক বিদর্ভ রাজ্য করা নিয়ে এক অনুষ্ঠানের করেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক আশিস দেশমুখ। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি পৃথক বিদর্ভ রাজ্য গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘যদি জনগণ আশা করে, তাহলে পৃথক বিদর্ভ রাজ্য গঠনের ভাবনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, ‘এই আন্দোলন নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছনো উচিত। এটার একটা জাতীয় প্রভাব পড়বে। এটির প্রচার সমাজে পৌঁছনো উচিত।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট-কুশলী হিসাবেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর নির্বাচনী কৌশলের উপর ভিত্তি করেই প্রতিকূল হাওয়ায় পরিবর্তন এনে, প্রতিপক্ষকে লড়াইয়ের ময়দানে হারানোর করার একাধিক নজির রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। গত বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট-কুশলী ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবেন বলে প্রথমে স্থির হয়েছিল। কিন্তু পরে দলের অন্দরে কাজের দায়িত্ব নিয়ে তাঁর সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের বিরোধ দেখা দিলে, ক্রমশ প্রশান্ত কিশোরের দায়িত্ব অনেকটাই শিথিল করা হয়। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তারপরই ভোট-কুশলী হিসাবে আর কাজ করবেন না বলে ঘোষণা করেন পিকে। প্রশান্ত কিশোর পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের ভোট-কুশলী হয়ে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এবার তিনি শুধুই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান।