বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সবে কেটেছে দুর্গাপুজো-লক্ষ্মীপুজো। কিতু উৎসবের মেজাজ এখনও কাটেনি। আর সামনেই রয়েছে আলোর উৎসব দিপাবলী। বাঙালিদের পাশাপাশি অবাঙালিরাও এই দিনটি উদযাপন করে দিওয়ালি হিসেবে। আর এবারের দিওয়ালিতে বড় চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার আর রাজধানী দিল্লিতে নয়, প্রধানমন্ত্রী দিওয়ালির দিন কাটাতে পারেন উত্তরাখণ্ডে। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিওয়ালির দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কাটাতে পারেন। এই কারণেই উত্তরাখণ্ডে যেতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই উৎসবের দিনগুলি একটু অন্যভাবে কাটান প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, দেশের সাধারণ নাগরিক যাতে শান্তিতে, নিশ্চিন্ত মনে উৎসবের দিনে আনন্দে কাটাতে পারেন তার জন্যই সিমান্তে সবসময় কড়া পাহারা দিচ্ছেন সেনা জওয়ানরা। উৎসবের দিনগুলোতে গোটা দেশ আনন্দে মেতে উঠলেও, সেনা জওয়ানরা নিজেদের কর্তব্যে অটল থাকেন। সেই কারণেই তাঁদের সঙ্গ দিতে প্রায় প্রত্যেক বছরই সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, শুধু প্রধানমন্ত্রী একা নন, বিভিন্ন সময়ে তাঁর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও জওয়ানদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, এবারের দিপাবলীতেও সেনা জওয়ানদের সঙ্গেই কাটাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরাখণ্ডে যেতে পারেন তিনি এবারে। সেখানেই চামোলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
সূত্রের খবর, আগামী ২১ বা ২২ অক্টোবরই উত্তরাখণ্ড সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে চামোলিতে ভারত-চিন সীমান্তে কর্তব্যরত সেনা জওয়ানদের সঙ্গে তিনি দখা করতে পারেন। আগামী ২৭ অক্টোবর ভাই-ফোঁটা। আবার ওইদিন থেকেই শীতকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেদারনাথ মন্দির। তার আগেী কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দিরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, এখনও প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে এই বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে, সূত্রের খবর, আগামী ২১ অক্টোবর বদ্রীনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাতটি সেখানেই কাটাবেন তিনি। পরের দিন তিনি কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর মাসেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেদারনাথে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ৪০৯ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন।