বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম জন্মতিথি। আর সেই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রয়েছে পুণ্যস্নান এবং মতুয়া মহাধর্ম মেলা। আগামিকাল ভারচুয়ালি ভক্তদের উদ্দেশে বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, তার আগে টুইটের মাধ্যমে স্মৃতিচারণা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সফরের স্মৃতি টুইটে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের আশীর্বাদও তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই টুইটে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উল্লেখ্য, আগামিকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ভারচুয়ালি মতুয়া ভক্তদের উদ্দেশে ভারচুয়ালি বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে রীতিমতো ধন্য মোদী। সেকথাই তিনি টুইটে উল্লেখ করেন। তিনি টুইটে লেখেন যে, ‘নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি’।
এদিকে, অতীতে এই মতুয়া মেলার আয়োজন করা নিয়ে বনগাঁ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের মধ্যে অনেকবার বিরোধ হয়েছে। তবে, এবার সেই বিরোধ আর নেই। তাই এবার দু’পক্ষই একসঙ্গে মেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামিকাল এই পুন্যস্নান উপলক্ষে উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিশেষ ট্রেনে চড়ে ভক্তরা ঠাকুরনগরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে৷ আবার জানা গিয়েছে, আন্দামানে থাকা মতুয়া ভক্তদের জন্য বিশেষ জাহাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির রাজ্য কমিটি নিয়ে দলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। মতুয়াদের সেখানে যথাযথ প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে ৷ তা নিয়ে সরব হন স্বয়ং শান্তনু ঠাকুর। মতুয়াদের মধ্যে থেকে কাউকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি না করার কারণে শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর অনুগামীরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের ক্ষোভ, অভিমান কমানোর চেষ্টায় মোদী ভারচুয়ালি বার্তা দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। মতুয়াদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে সবাই।