বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৫ ডিসেম্বর, সোমবার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের। তাঁকে কিডনি দিয়েছেন তাঁর কন্যা রোহিণী আচার্য। এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান রাজনীতিক তথা আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদ যাদবের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরজেডি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কিডনি প্রতিস্থাপনের পর লালুপ্রসাদ এবং তাঁর কন্যা উভয়েই ভালো আছেন বলেই জানা গিয়েছে। আরজেডি-র পক্ষ থেকে পেশ করা ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ফোন করে লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, সোমবারই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী টুইট করেছিলেন বাবার অস্ত্রোপচার নিয়ে। তিনি জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এরপর লালুপ্রসাদকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, লালুকন্যা রোহিণীও সুস্থ আছেন। তাঁদের পরিবারের জন্য যারা পার্থনা করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তেজস্বী যাদব।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও লালুর অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার খবরটিকে ‘অত্যন্ত আনন্দের’ বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে আরজেডির হাত ধরেছেন নীতীশ। ফলে আগের ‘শত্রুতা’র এখন আর নেই। পরিবর্তে তেজস্বীদের সঙ্গে জোট বেঁধে, তাঁরা বিহারে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আরজেডি সুপ্রিমোর সফল কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে নীতীশ কুমারের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করাটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদের মেজ মেয়ে রোহিণী আচার্য বাবাকে কিডনি দেবেন, চলতি মাসেই এই কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপরই রোহিণীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় গোটা দেশ। উল্লেখ্য, রোহিণী সিঙ্গাপুরেই থাকেন। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়েছে লালুপ্রসাদের। এই প্রসঙ্গে আগেই জানা গিয়েছিল, সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কিডনি প্রতিস্থাপন হবে। এরপর লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দেহে তাঁর মেয়ের কিডনি প্রতিস্থাপন হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। ক্রমশই খারাপ হচ্ছিল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি। এর মধ্যেই জানা যায় যে, তাঁকে সুস্থ করে তুলতে তাঁরই মেজ মেয়ে রোহিণী নিজের কিডনি বাবাকে দেওয়ার ব্যাপারে মনোস্থির করেছেন। তবে, শুধু কিডনির সমস্যাই, আরও নানা অসুখে ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এই আরজেডি-র প্রতিষ্ঠাতা। এই অবস্থায় সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এরপরই বাবাকে কিডনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেয়ে রোহিণী আচার্য। তবে, জানা যায়, মেয়ের এই সিদ্ধান্তে প্রথমে সায় ছিল না লালুপ্রসাদ যাদবের। যদিও শেষে তিনি রাজি হন।