বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মণিপুরে ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ দুই দফায় রয়েছে নির্বাচন। অর্থাৎ কিছুদিন বাদেই রয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে মণিপুরে নির্বাচনী প্রচারে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইম্ফলের কাছে বিজেপির অনুষ্ঠিত লুয়াংপকপা স্পোর্টস কমপ্লেক্স গ্রাউন্ডে সভায় গিয়েছিলেন মোদী। সেখান থেকেই মণিপুর নিয়ে আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন যে, মণিপুর পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে। মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে সংযোগকারী হাইওয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলেই তা পূরণ হবে। তিনি এদিন নির্বাচনী সভায় বলেছেন, ‘পূর্ব এশিয়ার বাকি অংশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হল মণিপুর। তাই বিজেপি সরকার মণিপুরকে দেশের রেল মানচিত্রে নিয়ে এসেছে।’ আজকের এই জনসভায় মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং, বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ সারদা দেবী, বিধানসভার স্পিকার ওয়াই খেমচাঁদ, মন্ত্রী টিএইচ বিশ্বজিৎ প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের এই জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন ইম্ফল পর্যন্ত ট্রেন আসবে এবং সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই সংযোগ এই অঞ্চলের পর্যটনকেও উৎসাহিত করতে চলেছে।’ পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, রেলপথ ছাড়াও মণিপুরকে জাতীয় মহাসড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হবে, কারণ বিজেপি সরকার মোট ৪০ টি জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, বিজেপির পূর্ববর্তী সরকার একটি মাত্র জাতীয় সড়কের কথা বলেছিল।
অন্যদিকে, এদিন বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, যে কংগ্রেস সরকার মণিপুরের ভাগ্য হিসাবে বনধ আর অবরোধ দিয়েছে অতীতে। পাশাপাশি মণিপুরের মানুষ ২০১৭ এর আগে রেশনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে মণিপুরে ৬০ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘করোনার এই সংকটের মধ্যেও বিজেপি সরকার মণিপুরের ২২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে। অর্থাৎ ১০ জনের মধ্যে ৭ জন নাগরিক বিনামূল্যে রেশনর সুবিধা পাচ্ছেন।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ মণিপুরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীকালে ভোটের দিনে পরিবর্তন করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা মণিপুরে। এরপর আগামি মাসের ১০ মার্চ ভোটগণনা হবে।