বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নীতি আয়োগের বৈঠক। আজ এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্মিলিত প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন। নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘প্রতিটি রাজ্য তাঁদের নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে এবং করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে তাদের অবদান রয়েছে। উন্নয়নশালী দেশগুলির কাছে ভারতে বিশ্বনেতা হিসেবে তুলে ধরার একটি উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে।’
এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোভিড কালে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন কাঠামো সারা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে থেকেছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে বার্তা দিতে পেরেছে ভারত। এটা রাজ্য সরকারগুলির সাহায্য ছাড়া কখনই সম্ভব হত না।’
আজকের বৈঠকে ২৩ জন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, জন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, দু’জন প্রশাসনিক কর্তা ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, করোনা অতিমারির পর এই প্রথম সামনাসামনি নীতি আয়োগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এই বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে, করোনা সঙ্কটের সময় ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো গোটা বিশ্বের কাছে মডেল হয়ে থেকে যাবে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে ভারত বার্তা দিয়েছে যে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও স্থিতিস্থাপকতার সঙ্গে সব বাধাবিঘ্ন পার করা সম্ভব। এই কথা বলতে গিয়েই তিনি সব রাজ্যের কথা তুলে ধরেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে প্রথমবারের মতো ভারতের সমস্ত মুখ্য সচিব এক জায়গায় একত্রে মিলিত হয়েছেন। তিনদিন ধরে জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আজকের বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নিজেদের দাবিও তুলে ধরেন। শস্য বৈচিত্র্যকরণ, ডাল, তৈলবীজ, অন্যান্য কৃষি পণ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, স্কুল, উচ্চশিক্ষায় জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন এবং নগর প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হয় এদিন। অন্যদিকে, এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে, এর থেকে আরও বেশি আয় হতে পারে বলেও তিনি জানান। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিএসটি সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজন। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে এবং ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামী বছর ভারতে হতে চলেছে জি-২০ (G-20) সম্মেলন। রবিবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে এই নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে এটা দেখাতে পারব যে, ভারত মানে শুধু দিল্লি নয়। একাধিক রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে এই দেশ।’